২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার সঙ্গে গুরুতর যোগাযোগ রয়েছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের।গত মঙ্গলবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র যখন পৌঁছান তাঁকে বেশ আত্মবিশ্বাসী বলেই মনে হয়েছে। তবে এই শিক্ষক দুর্নীতি কাণ্ডের বহু নেতার মুখে বহুবার কালীঘাটের কাকুর প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। গত ২০শে মে সুজয়ের বেহালার ফকিরপাড়া রোডের ফ্ল্যাট বাড়ি অফিস সহ বহু জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি।একসময় অভিষেকের অফিসে চাকরি করতেন সুজয়।
এছাড়াও তাঁর অধীনে থাকা তিনটি সংস্থাতেও ইডি তল্লাশি চালিয়েছে। সেই তল্লাশিতে বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে যাতে অনুমান করা হচ্ছে এই সমস্ত সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হতো। অনেককেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বললে চিনতে অসুবিধা হতে পারে তার থেকে বরং কালীঘাটের কাকু বলেই তিনি বেশি পরিচিত। বুধবার সুজয় ব্যাংকশাল আদালতের পেশ করা হয়েছে যেখানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থাৎ ইডি আইনজীবী জানান উনি খাওয়া দাওয়া এক প্রকার ছেড়েই দিয়েছেন যে কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে তাঁর অসুস্থতার। অপরদিকে ইডি আধিকারিকরা বড় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কারণ এই অসুস্থতাই এখন তাঁর কাছে একমাত্র সুযোগ এই জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যাওয়ার যা কখনোই হতে দিতে চায় না তাঁরা। তাই তড়িঘড়ি তাঁকে ই এস আই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য। তবে তাতেও বেশ বিলম্ব হয়েছে। অপরদিকে আদালতে ইডির কৌঁসুলি ফিরোজ এডুলজি এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাজির করেছেন তা হল বেশ কিছু ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে যা থেকে প্রয়োজনীয় বহু তথ্য পাওয়া গিয়েছে এমনকি বহু তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলেও তাদের দাবি।
এই সমস্ত তথ্য থেকে যা স্পষ্ট হচ্ছে তা হলো ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন, তাই ইডি আপাতত তাঁকে ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ড নিয়ে একের পর এক যেভাবে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসছে তাতে আগামী দিনে আরও কত চমকপ্রদ তথ্য সামনে আসে তার দিকে নজর থাকবে সকলের।