মাথায় ব্যান্ড, এলোমেলো চুল, ছিপছিপে চেহারা কেরলের ক্রিকেটার শান্তাকুমারণ শ্রীসন্থের বাড়ির ট্রফি ক্যাবিনেটে রয়েছে দুটি বিশ্বকাপের সোনার পদক, যা ভারতের তাবড় ক্রিকেটারের কাছে নেই। ক্রিকেটের ছাড়া অন্য ঘটনাতেই বেশি প্রচার পেয়েছেন শ্রীসন্থ। ২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভারতকে টেস্ট জিতিয়ে ছিলেন তিনি। তাঁর দক্ষতা ভারতকে একাধিক ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছে। ২০১০ সালে ডারবানে বক্সিং ডে টেস্টে তাঁর ঝোড়ো বোলিং এখনও মনে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের।
ক্রিকেটজীবনে তিনি সুযোগ ও সাফল্য দুই ই পেয়েছেন। আবার তেমন বিতর্কেও জড়িয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেটর শ্রীসন্থের ভাবমূর্তি কিছুটা আলাদা। ক্রিকেটের পাশাপাশি, সিনেমা এবং টেলিভিশনের জগতেও স্বচ্ছন্দ যাতায়াত কেরলের প্রাক্তন ক্রিকেটারের। বার বার নজিরবিহীন বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। বর্তমানে গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে বিপাকে শ্রীসন্থ। তাঁকে আইনি নোটিস পাঠাল লেজেন্ডস লিগ কমিটি। লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটে ইন্ডিয়া ক্যাপিটালস বনাম গুজরাত জায়ান্টসের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন গম্ভীর এবং শ্রীসন্থ।
গুজরাতের শ্রীসন্থের একটি ওভারে পর পর চার এবং ছয় মারেন গম্ভীর। তখন শ্রীসন্থ তাঁর দিকে কড়া চোখে তাকিয়ে থাকেন। পরের বলটি যায় ফিল্ডারের কাছে। তখনই শ্রীসন্থ গম্ভীরকে কিছু একটা বলেন। তার পাল্টা দেন গম্ভীরও। বিষয়টি আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই দু দলের ক্রিকেটার এবং আম্পায়ারেরা এসে দুই ক্রিকেটারকে আলাদা করে দেন। গম্ভীর সেই ম্যাচে ১০ রান করে রান আউট হয়ে যান। শ্রীসন্থের অভিযোগ গম্ভীর তাঁকে ‘ফিক্সার’ বলেছেন। সেই নিয়ে পোস্ট করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন পেসার।
প্রতিযোগিতা চলাকালীন তাঁর এই পোস্ট নিয়মবিরুদ্ধ বলে জানিয়েছে কমিটি। শ্রীসন্থ পোস্ট মুছলে তবেই তাঁর কথা শোনা হবে বলে জানিয়েছে তারা। শ্রীসন্থ এবং গম্ভীরের মধ্যে মাঠে যে ঝামেলা হয়েছিল, তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন আম্পায়ারেরাও। সেখানে শ্রীসন্থকে গম্ভীর যে ‘ফিক্সার’ বলেছেন তার কোনও উল্লেখ নেই। ওই ম্যাচের পরে ইনস্টাগ্রামে লাইভ করেন শ্রীসন্থ। এরপর বিতর্ক গম্ভীর রূপ নেয়। গম্ভীরের সঙ্গে ঝামেলা সংক্রান্ত যাবতীয় পোস্ট শ্রীসন্থকে প্রতিযোগিতা চলাকালীন মুছে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।