কলকাতার ইডেন গার্ডেনে গত শনিবার, কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, আইপিএলের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। এই ম্যাচের ঠিক আগে শুক্রবার রাতে টিকিট ব্ল্যাকের অর্থাৎ কম দামের টিকিট অনেক বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হল। অভিযুক্তেরা একসঙ্গে অনেক টিকিট নিজেদের কাছে রেখে সেগুলি ইচ্ছামতো দামে তারা বিক্রি করছিলেন। এরপর গিরিশ পার্ক থানা এবং নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এই তিন জন যথাক্রমে পীযূষ মহেন্দ্র, কমল হোসেন এবং শাহাবাজ খানকে গ্রেফতার করা হয়।
আইপিএলে বিরাট কোহলির জন্যই কলকাতা বনাম বেঙ্গালুরুর ম্যাচ নিয়ে যেমন বাড়তি উন্মাদনা থাকে, তেমনই থাকে টিকিটের বিপুল চাহিদা। দুষ্কৃতীরা এই সুযোগই নিচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ধৃতদের কাছ থেকে শনিবারের ম্যাচের একগুচ্ছ টিকিট, নগদ টাকা এবং মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। টিকিট ব্ল্যাকের অভিযোগ প্রথম দায়ের করেছিলেন ধীরাজ মালি নামের এক যুবক, যিনি গিরিশ পার্ক থানায় অভিযোগ করেন যে, আশিস শর্মা নামের এক ব্যক্তির সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট দেখে আইপিএলের টিকিট কেনার জন্য তিনি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ধীরাজ গিরিশ পার্ক এলাকায় যান এবং সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে পীযূষ নামক ব্যক্তির দেখা হয়। ধীরাজ ২০ হাজার টাকা দেওয়ার পর পীযূষ তাকে একটি খাম দেন, যার ভিতরে মোট চারটি টিকিট ছিল। ওই চারটি টিকিটের মধ্যে দুইটি টিকিটের দাম দুই হাজার টাকা। বাকি দুইটি টিকিট বিনামূল্যে প্রাপ্ত বলেই জানান তিনি। এরপর ধীরাজ বুঝতে পারেন যে, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। আসলে ধীরাজ যেই আশিসনামক ব্যক্তির পোস্ট দেখে টিকিট কিনতে এসেছিলেন, সেই আশিসকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। এরপর তিনি গিরিশ পার্ক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গত শুক্রবার গভীর রাতে মিত্র লেন থেকে পীযূষ এবং তার সহকারী কমলকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে মোট ২১টি টিকিট, দু’টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২০ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এমনকি, নিউ মার্কেট এলাকা থেকে শাহবাজ নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার কাছ থেকে ম্যাচের ছয়টি টিকিট উদ্ধার করা হয়।