এবার ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তরফ থেকে দুই জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। মৃত্যু ঘটেছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি এবং তার সহযাত্রী তথা ওই দেশের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ান। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এই খবর জানানো হয়নি, তবে সরকারি সংবাদ সংস্থা রয়টার্স, সেই দেশের প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে এই খবর জানিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রইসি আজারবাইজান সফরে বেরিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গী ছিলেন বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ান। যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটে, সেই স্থানটি আজারবাইজানের সীমান্তে অবস্থিত শহর জোলফার কাছাকাছি অবস্থিত।
ওই স্থানটি ইরানের রাজধানী থেকে অন্তত ৬০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে। ইরান প্রশাসনের একটি সূত্র মারফত জানা গেছিল, ভারী বৃষ্টি এবং ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডলের একটি পোস্টে লেখেন, ‘’এই দুঃখের সময়ে ভারত ইরানের পাশে রয়েছে। ইরানের ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট রইসির বেদনাদায়ক মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। ভারত-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে তাঁর অবদান সর্বদা মনে থাকবে। তাঁর পরিবার এবং ইরানের মানুষকে আমি আমার অন্তরের সমবেদনা জানাই।”
ইরান প্রশাসনের এক শীর্ষ পদাধিকারী জানান যে, গত রবিবার পর্বতে ধাক্কা খেয়ে রইসির চপার ভেঙে পড়েছে, যেখানে ইরানের বিদেশমন্ত্রী ছিলেন। একটি পার্বত্য অঞ্চল পেরিয়ে যাওয়ার সময় চপারটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। প্রবল বৃষ্টি আর ঘন কুয়াশার জন্য দুর্ঘটনাস্থলে দৃশ্যমানতা খুব কম ছিল। জানা যায় যে, ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং ওই দেশের বিদেশমন্ত্রীর অবস্থা এই মুহূর্তে আশঙ্কাজনক। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক বলেন যে, “আমরা এখনই হাল ছাড়ছি না, তবে যেখানে চপারটি ভেঙে পড়েছে, সেই এলাকাটা আমাদের চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে।”
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স দুর্ঘটনাস্থলের যে ছবি দেয়, তাতে দেখা যায় যে, কুয়াশাঘেরা পাহাড়ের বুকে হেলিকপ্টারের ভাঙা অংশ পড়ে রয়েছে। সেখানে একাধিক গাড়ি ঘোরাফেরা করছে। উদ্ধারকারীরা হেঁটে দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। ওই ভেঙে পড়া চপারটির অবস্থাও শোচনীয়। দুর্ঘটনার জেরে তা আগুন ধরে গেছিল এবং সেতো তুবড়ে গেছে। চপারটির একাধিক অংশ পোড়া অবস্থায় মেলে। আর বিশেষ করে চপারের কেবিন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।