আর বাকি মাত্র ১৫ দিন, তারপরই আগামী ২৬শে জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে প্যারিস অলিম্পিক্স। প্রস্তুতি এখনো চলছে। ফরাসি প্রশাসনকে সুরক্ষা বন্দোবস্ত থেকে শুরু করে আয়োজনের খরচ এই সবটা সামলাতে হচ্ছে। তবে, খেলা শুরু হওয়ার আগেই অলিম্পিক্সের আয়োজকেরা পড়েছেন বেজায় বিপাকে। তারা যে সমস্যায় পড়েছেন চলুন দেখে নেওয়া যাক।
১) চুরি গিয়েছে সুরক্ষার নীল নকশা
প্যারিস অলিম্পিক্সের সুরক্ষার নীল নকশা চুরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, এক ইঞ্জিনিয়ারের কাছে অলিম্পিক্সের সুরক্ষার নীল নকশা ছিল। ট্রেন বদল করার সময় তার ব্যাগ চুরি হয়ে যায়। এখন পুলিশ তার ব্যাগ উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। ব্যাগ উদ্ধার না হলে শেষ মুহূর্তে সুরক্ষা বন্দোবস্ত পুরো বদলে ফেলতে হতে পারে।
২) বন্ধের হুঁশিয়ারি বিমানবন্দরের কর্মীদের
প্যারিসের বিমানবন্দরের কর্মীদের সংগঠন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, বিমানবন্দরের অনেক কর্মী বোনাস পাননি, অবসর নেওয়া কিছু কর্মীকে অবসরকালীন ভাতা দেওয়া হয়নি। অলিম্পিক্সের সময় প্যারিসের দুটি বিমানবন্দরে সাড়ে ৩ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করবেন। অলিম্পিক্স শুরু হওয়ার আগেই যদি কর্মীরা বন্ধ করেন তা হলে বিমান পরিষেবায় সমস্যা হবে। তাই কর্মীদের সংগঠনের সঙ্গে প্রশাসন আলোচনা শুরু করেছে।
৩) লাগামছাড়া খরচ
অলিম্পিক্সের আয়োজনের জন্য প্রথমে যে খরচ ধরা হয়েছিল, তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার কোটি টাকায়, যার একটা বড় অংশ জনগণের কর থেকে পাওয়া যাবে। কিন্তু বাকিটা কীভাবে বিনিয়োগ করা হবে তা নিয়ে সরকার পড়েছে বিপাকে। এখন এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে চলছে বৈঠক।
৪) পরিবহণের সমস্যা
প্যারিসে জনসংখ্যা বেশি, আবার তার ওপর পরিবহণের সমস্যা। অলিম্পিক্স উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের মানুষ সেখানে যাবেন। অলিম্পিক্সের বিভিন্ন খেলা যেসব জায়গায় হবে, সেগুলিকে দু’টি মেট্রো লাইনের মাধ্যমে জোড়ার কাজ চলছে, যা এখনো শেষ হয়নি। আর রাস্তায় যানজটের কারণে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যেতে অনেক সময় লাগে, ফলে অলিম্পিক্স চলাকালীন যানজটের সমস্যা মেটানোতাও সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৫) ফ্রান্সে ত্রিশঙ্কু পার্লামেন্ট
পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আসনসংখ্যায় শীর্ষে চলে আসছে বামপন্থী দলগুলির জোট ‘নিউ পপুলার ফ্রন্ট’, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর দল রেনেসাঁ পার্টির নেতৃত্বাধীন এনসেম্বল জোট। মাকরঁর দলের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি তদারকি সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ চালাতে চান। এদিকে মুখে কুলুপ এঁটেছেন প্রেসিডেন্ট মাকরঁ, ফলতু অলিম্পিক্স আয়োজকেরা পড়েছেন সমস্যায়।