সানোজ মিশ্রের তৈরি ডায়রি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। সদ্য দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে যে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল সারাদেশে, এমনকি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজ্যে ব্যান করে দিয়েছিলেন এই সিনেমাটি। এবার কি তাহলে তেমনই ঘটতে চলেছে ডাইরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলকে ঘিরেও, তা নিয়েই দানা বাজছে নানান জল্পনা।
কেরালা স্টোরির আগেও কাশ্মীর ফাইলস নিয়েও রাজ্যে জল্পনা কম হয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই সিনেমাগুলি ভালোই সাফল্য লাভ করেছে। ইতিমধ্যেই দ্য ডায়রি অব ওয়েস্ট বেঙ্গলের ট্রেলারও ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে, যে ট্রেলার ইতিমধ্যেই সাড়ে চার লক্ষ মানুষ দেখেও ফেলেছে। তার মধ্যে চল্লিশ হাজার জন মানুষ এই ভিডিওটিকে বেশ পছন্দ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। যদি ট্রেলারেই এই অবস্থা হয় তাহলে আগামী দিনে এই সিনেমাকে ঘিরে কি হবে তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
ট্রেলারটি মাত্র ২ মিনিট ১২ সেকেন্ডর ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে সংখ্যালঘুদের প্রতি তোষণের চিরাচরিত রাজনৈতিক ইঙ্গিত। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যাচ্ছে এনআরসি ও সিএএতে বক্তৃতা দিতে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন অন্য একজন অভিনেত্রী। এই ছবির মাধ্যমে পরিচালক যে বার্তা দিতে চেয়েছেন তা হলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি সম্প্রদায়কে তোষণ নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ সংখ্যালঘুদের জন্য সরকারের একের পর এক নীতি যা অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে সমস্যায় জর্জরিত করছে।
সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় ট্রেলারে খেলা হবে স্লোগানটিও যুক্ত রয়েছে। সবমিলিয়ে এটুকু স্পষ্ট ট্রেলারে একের পর এক ইসুকে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলার বিশৃঙ্খলা ও অশান্তির পরিস্থিতিকে তুলে ধরা হয়েছে যে কারণে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ ও বিজেপির প্রধান মুখপাত্র সৌমিক ভট্টাচার্যের বিরোধিতা করেছেন। তবে ছবির পরিচালক সানোজের বক্তব্য রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করা কখনোই তাঁর মূল লক্ষ্য নয়, তিনি বাংলার বর্তমান পরিস্থিতিই শুধুমাত্র ফুটিয়ে তুলেছেন সিনেমাতে।