গত বছর ২৫শে নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সন্ন্যাসী তথা ইসকনের প্রাক্তন নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস অবশেষে পেলেন জামিন। গত বছর বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, যারা বর্তমানে বাংলাদেশের ক্ষমতায় রয়েছে। হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়ে যায়। এই সবকিছুর মাঝেই সংখ্যালঘু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করা হয়।
চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ছিল। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তাকে বাংলাদেশের পুলিশ গ্রেফতার করে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির দাবিতে পথে নেমেছিলেন। হাই কোর্টে একাধিক বার তার জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। শুনানির দিন গুলোয় তার পক্ষে আইনজীবী আদালতে হাজির হতে পারেননি। আইনজীবীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে। শেষপর্যন্ত চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেলে চট্টগ্রামের আদালতচত্বরে অশান্তি হয়।
ওই অশান্তিতে এক জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে খবর। চিন্ময়কৃষ্ণ দাস পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে জেলে থাকার পর অবশেষে চলতি বছরের ৩০শে এপ্রিল বুধবার, বাংলাদেশের হাই কোর্টে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। শুনানি শেষে বিচারপতি আতোয়ার রহমান খান এবং আলি রেজার যৌথ বেঞ্চ চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন মঞ্জুর করে। আইনজীবী প্রহ্লাদ দেবনাথ জানিয়েছেন যে, হাই কোর্টের এহেন নির্দেশের পর মনে করা হচ্ছে যে, চিন্ময়কৃষ্ণের জেলমুক্তি হবে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যদি হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়, তবে তিনি জেল থেকে এখনই ছাড়া পাবেন না।