ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের দাপটে কুয়েত। সেখানে বহুতল বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু ঘটেছে ৪৯ জনের। নিহতদের মধ্যে ৪২ জন ভারতীয় বলে জানা গেছে। আর এই ৪২ জন ভারতীয়ের মৃত দেহকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য নয়াদিল্লি উদ্যোগী হয়েছে। বুধবার ভোরের দিকে কুয়েতের রাজধানী শহরের দক্ষিণে মাঙ্গাফ এলাকার একটি বহুতল আবাসনে আগুন লাগে। ওই আবাসনে মূলত শ্রমিকরা থাকেন, আর তাদের অধিকাংশই ভারতীয়। ভারতীয়দের মধ্যে অধিকাংশই কেরল, তামিলনাড়ু এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু রাজ্যের বাসিন্দা।
নিহত শ্রমিকদের মধ্যে বাকিরা মূলত মিশর, নেপাল, পাকিস্তান এবং ফিলিপিন্সের বাসিন্দা। এই নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকেরই বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। কী কারণে আগুন লাগল, তা নিয়ে বর্তমানে চলছে পর্যালোচনা। কুয়েতের কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, গ্যাস লিক হওয়ার কারণেই এই বিপর্যয় ঘটেছে। যদিও সরকারি ভাবে অবশ্য এই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এই ঘটনার কারন জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমেদ আল-জাবের আলজ-সাবাহ।
এমনকি কুয়েতের স্থানীয় প্রশাসন হোটেলের মালিককে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছে। কুয়েত প্রশাসন জানিয়েছে, হতাহতদের সম্পর্কে তারা বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে। কুয়েতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বুধবার একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন, যেখানে স্থির হয়, নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তাঁর এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে পশ্চিম এশিয়ায় কর্মরত ভারতীয়দের সুরক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানান।
বুধবার রাতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কুয়েতের বিদেশমন্ত্রী আলি আল-ইয়াহিয়ার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিংহ ইতিমধ্যেই আহতদের চিকিৎসার বিষয়টি দেখভাল করতে এবং নিহতদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসাবে কুয়েতে পৌঁছেছেন।