বর্তমানে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে উত্তরবঙ্গ, আর অপরদিকে দীর্ঘশ্বাসে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। এখানকার মানুষ রীতিমতো চাতক পাখির মতো বৃষ্টির জন্য অপেক্ষারত। কেমন গরমের দাপট, তেমনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। কোথাও কোথাও আবার তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এইরকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে খানিক স্বস্তি দিতে বৃষ্টির আশায় রয়েছে সকলে, তবে এই বিষয়ে আবহাওয়া দফতর কী বলছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আগামী ৪৮ ঘণ্টা দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া পরিবর্তনের কোনোরকম সম্ভাবনা নেই বলেই জানা গেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে, দক্ষিণবঙ্গের ছয়টি জেলা যথাক্রমে হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং বীরভূমে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে এবং কোনো কোনো জেলায় আবার আশঙ্কাও করা হচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহের। কম বেশি সব জেলাতেই বজায় থাকবে গুমোট গরম এবং অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। এই ছয় জেলার মধ্যে বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে দফতরের তরফ থেকে।
দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও তাপমাত্রার পারদ থাকবে ঊর্ধ্বমুখী, আর পাশাপাশি বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। অপরদিকে, উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় হচ্ছে বৃষ্টি। মঙ্গলবার দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে। সোমবার মুষলধারে বৃষ্টির জেরে শিলিগুড়ি শহরের একাধিক এলাকা হয়েছে জলমগ্ন। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও কম-বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে যে, আগামী বৃস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার খানিক পরিবর্তন হতে পারে।
বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। শুক্রবার থেকে বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ, তবে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না এই গরম এবং অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। মঙ্গলবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে, আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।