বর্ষাকাল মানেই ঝমঝম, কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, আর তার সাথেই থাকে খিচুড়ি এবং ইলিশ মাছ ভাজা খাওয়ার তাগিদ। বর্ষায় পেটের সমস্যার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায় ভালমন্দ খাবার ইচ্ছে। আজ ইলিশ, তো কাল চিংড়ি। এই খাওয়ার পর্ব চলতেই থাকে, যা থামতে চায় না। ইলিশের নানা পদ নিয়ে যেমন সকলের মধ্যে মাতামাতি দেখা যায়, ঠিক তেমন করে চিংড়ি নিয়ে রয়েছে সকলের মধ্যে হৈহৈ কাণ্ড। আসলে পোকর তকমা জুটলেও চিংড়ির স্বাদ এড়িয়ে যাওয়া সাধ্য কারো নেই।
এপারের মালাইকারি, বাটিচচ্চড়ি কিংবা ভাপার স্বাদ প্রতিনিয়তই নিয়ে চলেছেন, তবে আজ আমরা ওপার বাংলার চিংড়ি দিয়ে বানানো এমন একটি পদ সম্পর্কে বলতে চলেছি, যা দিয়ে আপনার এক থালা ভাত খাওয়া হয়ে যেতে পারে। কোনো এক বৃষ্টি ভেজা দুপুরে চিংড়ি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ওপার বাংলার বিখ্যাত একটি পদ ভুনা চিংড়ি। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক ভুনা চিংড়ি রান্না করার সহজ পদ্ধতি।
ভুনা চিংড়ি রন্ধন প্রণালী
ভুনা চিংড়ি বানাতে প্রথমেই চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে, তার মাথা ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর চিংড়িগুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। অনেকে চিংড়িতে লেবুর রস বা ভিনিগার মাখিয়ে রাখেন, কারণ এই লেবুর রস, চিংড়ি থেকে অ্যালার্জির ভয় খানিকটা কমিয়ে দেয়। এরপর কড়াইতে তেল গরম করে তার মধ্যে চিংড়িগুলো হালকা করে ভেজে নিতে হবে। এবার ওই তেলের মধ্যেই পেঁয়াজ কুচি, আদা ও রসুন বাটা দিয়ে ভাজতে ভাজতে ওই সময়ই একটি ছোট পাত্রে সব ধরনের গুঁড়ো মশলা এবং জল মিশিয়ে ঘন একটি মিশ্রণ তৈরি করে ফেলতে হবে। এরপর কড়াইতে ওই ভাজাগুলির মধ্যে ওই গুঁড়ো মশলার ঘনও মিশ্রণটি দিয়ে ভাল করে কষাতে হবে। তার থেকে যখন তেল ছাড়তে শুরু করবে, ঠিক তখন চিংড়িগুলো তারমধ্যে দিয়ে দিতে হবে। এরপর আন্দাজ মতো নুন, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করে নিযে হবে। যদি চিংড়ি সেদ্ধ না হয়, তবে সেক্ষেত্রে সামান্য জল দিয়ে দিতে হবে। এরপর কড়াই ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিলেই ব্যস ভুনা চিংড়ি তৈরি। তবে মনে রাখতে হবে যে, চিংড়িতে যেন জলের পরিমাণ বেশি না দেওয়া হয়, খুব বেশি ঝোল থাকলে স্বাদ ভালো হবে না।