চারিদিকে কনকনে ঠান্ডা। তাপমাত্রা নেমে গেছে হিমাঙ্কের নিচে। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে টিকে থাকবে চন্দ্রযান-৩? রোভার প্রজ্ঞানে কি তেমন শক্তি রয়েছে? সবটাই জানা যাবে আর ১৪ দিন পর।
চাঁদে ডুবে গেছে সূর্য। আবার ২২ সেপ্টেম্বর নাগাদ চাঁদে সকাল হতে পারে। তখন বোঝা যাবে বিক্রম বা প্রজ্ঞানের প্রযুক্তিগত কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা। তবে এতদিন পর একটানা ঠান্ডায় থাকার ফলে সমস্যা হবার কথা জানিয়ে ভীষণ চিন্তিত বিজ্ঞানীরা।
এই মুহূর্তে চাঁদের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। এই প্রবল ঠান্ডা জলের প্রযুক্তি সহ্য করতে পারবে কিনা তা স্পষ্ট না হলেও বিজ্ঞানীরা কিছুটা হলেও আশাবাদী। আপাতত ল্যান্ডার, রোভারগুলিকে স্লিপিং মোডে পাঠিয়ে দেওয়া হলেও রিসিভার বা তথ্য সংগ্রহকারী যন্ত্র গুলি এখনো চালু রয়েছে। চাঁদে আবার সূর্য উঠলে সৌরশক্তি কাজে লাগিয়ে সেগুলি কাজ করা শুরু করতে পারবে কিনা তা বোঝা যাবে রিসিভারের মাধ্যমে।
মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় গবেষণা সংস্থা এটি টুইট করে চাঁদের মাটিতে বিক্রমের একটি ছবি দেখিয়েছেন যে ছবি রোভারের নেভিগেশন ক্যামেরা তুলেছে দুই ভাগে। চাঁদে দিনের আলো ক্ষীণ তা বেশ কষ্ট বোঝা যাচ্ছে ওই ছবিগুলি দেখে।
চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে একপ্রকার সাফল্য অর্জন করেছে ভারতীয় গবেষণা সংস্থা কিন্তু সেই সাফল্য শেষ পর্যন্ত কতটা তথ্য সংগ্রহ করে আনতে পারবে সেটাই এখন দেখার।