হরিদেবপুরে একটি হোমে দৃষ্টিহীন দুই নাবালিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার প্রিন্সিপাল এবং সেক্রেটারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হরিদেবপুরের ওই ফোনটি মূলত দৃষ্টিহীনদের জন্য তৈরি করা। ওই হোমে ছাত্রীরা থাকার পাশাপাশি শিক্ষাদানের সুযোগ-সুবিধা পায়।
কিছুদিন ধরেই ওই হোমের কয়েকজন নাবালিকাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে এমনই অভিযোগ জানিয়েছে হোমের দুই নাবালিকা। ২০১০ সাল থেকে এই নির্যাতন চলে আসছে তাদের উপর। পুলিশের কাছে করা এফআইআর এ নাম রয়েছে প্রিন্সিপাল এবং সেক্রেটারির। ধৃত সেক্রেটারির নাম জিবেশ দত্ত। প্রিন্সিপাল মহিলা হয় তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নির্যাতনের সমস্ত খবর জানা সত্ত্বেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। তবে এই ঘটনায় আরো বেশ কিছু মানুষ জড়িত রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টিতে রাধুনী সহ কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সমীর দুটি ঘর থেকে মোট ৪০ জনকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হোমের একটি ঘর থেকে ৩২ জন মেয়েকে সরানো হয়েছে। অন্য একটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আটজন কিশোরীকে, যাদের মধ্যে দুজন নির্যাতিত। ঘরটির দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনিও দৃষ্টিহীন। রাত নটার মধ্যে মেয়েদের ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হতো। তবে এই হোম শুধুমাত্র নাবালিকা নয়, ৩৮ জন দৃষ্টিহীন বালকদের ঠিকানা।
হোমের এক কর্মীর কথা অনুযায়ী, এখানে এসব হতে পারে বিশ্বাসই করতে পারছি না। আমাদের এর আগে কেউ কিছু বলেনি। সম্প্রতি শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সবাই খুব মজা করলাম আমরা।
হোমের অন্য এক শিক্ষিকা বলেছেন, তদন্ত করলে পুরোটাই সামনে উঠে আসবে। তবে আগে কখনো এমন কথা শুনিনি। পুলিশ আসার পর জানতে পারলাম।