শনিবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
Homeখেলাক্রিকেটবিনোদ কাম্বলির মস্তিষ্কে জমাট বাঁধছে রক্ত, কোন রোগের শিকার হলেন জানুন

বিনোদ কাম্বলির মস্তিষ্কে জমাট বাঁধছে রক্ত, কোন রোগের শিকার হলেন জানুন

৫২ বছর বয়সী প্রাক্তন ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। জানা গেছে যে, তার মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে ঠাণের হাসপাতালে। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত বিশদভাবে কিছু জানা না গেলেও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে যে, তার শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়েছে। পেশি টানের সমস্যা দেখা দিয়েছে। একবার তার স্ট্রোক হয়েছিল বলেও খবর। ধরা পড়েছে সেই লক্ষণ। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে যদি কোনো কারণবশত রক্তক্ষরণ ঘটে, তবে সেক্ষেত্রে অক্সিজেন সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে।

মস্তিষ্কের কোষ অত্যন্ত সংবেদনশীল, সেই কারণে অক্সিজেন বা শর্করা সরবরাহে সমস্যা হলে দ্রুত মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শারীরিক অবনতি শুরু হয়। এর ফলে ঘটে স্ট্রোক। স্নায়ুরোগ চিকিৎসক অনিমেষ কর জানিয়েছেন যে, বিনোদ কাম্বলির শরীরে পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের ভারসাম্যহীনতা রয়েছে। পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম মিলেই তৈরি হয় মানবদেহের ইলেক্ট্রোলাইটস পরিবার। এই ইলেক্ট্রোলাইটের ভূমিকা রয়েছে স্নায়ু, পেশি ও হার্টের পরিচালনায়। তাই এদের পরিমাণে যদি অসামঞ্জস্য থাকে, তাহলে হার্টের রোগ, স্ট্রোক এবং জীবনহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে। আবার বেশি পরিমাণে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খেলে শরীরে খনিজ উপাদানের ভারসাম্য নষ্ট নয়।

চিকিৎসকের মতে, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, ডায়াবিটিস, অতিরিক্ত মদ্যপান কিংবা ধূমপানি ফলে শরীরে খনিজ উপাদান ও হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এমনকি এর ফলে বাড়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই।শারীরিক দুর্বলতা, হাঁটাচলার সময়ে শরীরের ভারসাম্যহীনতা, জিভের জড়তা, কথা বলার সময়ে মুখ এক দিকে বেঁকে যাওয়া প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দিলেই অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কম হলে তাকে বলে হাইপোনেট্রিমিয়া। এর ফলে পেশিতে টান ধরা, পেশির অসাড়তা, খিঁচুনি, রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা দেখা দেয়। এর প্রভাব পরে মনে। এর ফলে রোগীর চিন্তাভাবনা গুলিয়ে হয়, রোগী তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন, আচরণে আসে বদল। আবার পটাশিয়ামের মাত্রা কম হলে তাকে বলে হাইপোক্যালিমিয়া। এর ফলে পক্ষাঘাত, রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। হাইপোক্যালিমিয়া হলো কার্ডিয়োভাস্কুলার রোগের অন্যতম কারণ। কাম্বলির কী কারণে রক্ত জমাট বাঁধছে, সেই বিষয়ে এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments