টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর ভারতের টেস্ট অধিনায়কের পদ থেকে রোহিত শর্মা অবসর নেন। তার পর টি-টোয়েন্টিতে ভারতের অধিনায়ক করা হয় সূর্যকুমার যাদবকে। তিনি টেস্ট ক্রিকেটে দলে সুযোগ না পাওয়ায় তার অধিনায়ক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এখন টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে উঠে এসেছে একাধিক নাম। যখন রোহিত শর্মা অধিনায়ক পদে ছিলেন, তখন সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব ছিল জসপ্রীত বুমরাহের ওপর। তবে, এইমুহুর্তে রবি শাস্ত্রী এবং সুনীল গাওস্কর, রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক হিসাবে চাইছেন না।
ভারতের প্রধান পেসার বুমরাহ, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট সিরিজে সব ম্যাচেই খেলেছেন। তবে ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী মনে করছেন যে, বুমরাহকে অধিনায়ক করা উচিত হবে না। তার বক্তব্য, “অস্ট্রেলিয়া সফর দেখার পর অবশ্যই বুমরাহকে অধিনায়ক করা উচিত, কিন্তু আমি চাই না ওকে অধিনায়ক হিসাবে দেখতে। তাহলে আমরা বোলার বুমরাহকে হারিয়ে ফেলবো। প্রতি ম্যাচে খেলার পর দেখতে হবে ও কেমন থাকে। বড় চোট সারিয়ে ফিরেছে বুমরাহ। তাই সাবধানে থাকতে হবে। আইপিএলে খেলছে ও, কিন্তু এখানে শুধু চার ওভার বল করতে হয়। টেস্টে ১০ থেকে ১৫ ওভার বল করতে হবে। সেই চাপ নেওয়ার পর আবার নেতৃত্ব দেওয়ার চাপ ওর উপর না দেওয়াই ভালো।”
শাস্ত্রী বলেছেন এমন কাউকে অধিনায়ক করতে, যিনি আগামী বেশ কিছু বছর একটানা ভারতের হয়ে খেলবেন। শাস্ত্রীর মতে, “কাউকে অধিনায়ক হিসাবে তৈরি করা হোক। আমার মনে হয় শুভমনকে অধিনায়ক করলে ভালো হবে। ওকে সেই সুযোগ দেওয়া হোক। ওর ২৫ থেকে ২৬ বছর বয়স। ওকে সময় দেওয়া হোক। এছাড়াও ঋষভ পন্থও রয়েছে। বয়স কম হওয়ার জন্য এই দুইজন এই পদের জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে। ওদের সামনে অন্তত ১০ বছর রয়েছে। ওরা শিখে নিতে পারবে। ওদের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। শুভমন খুব শান্ত, ঠান্ডা মাথার ছেলে। ওর মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ রয়েছে। হয়তো বিদেশের মাটিতে রান করেনি বলে অনেকে অভিযোগ করে। তাই তাদের বলবো, শুভমনকে খেলতে দেওয়া হোক। বিদেশে রান নেই বলে চাপ তৈরি করার প্রয়োজন নেই। ও ভালো ক্রিকেটার, ঠিক রান করবে।”
এদিকে রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন গাওস্করও। তিনিও বুমরাহকে অধিনায়ক করার পক্ষপাতী নন। গাওস্কর বলেন, “শুভমন গিল, শ্রেয়স আয়ার এবং ঋষভ পন্থ আগামী দিনে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে থাকবে। ওদের মধ্যে শুভমন একটু এগিয়ে রয়েছে। মাঠে প্রতিটা বিষয়ের সঙ্গে ও খুব জড়িয়ে থাকে। কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন থাকলে আম্পায়ারের সঙ্গে গিয়ে কথা বলে। পন্থ উইকেটের পিছনে থাকে। ও ভালো। শ্রেয়সও ভালো। আগামী দিনে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এই তিন জন থাকবেই।”