হড়পা বানে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হলো গুজরাটে। এর আগে আমরা দেখেছি দিল্লি উত্তর প্রদেশ হিমাচল প্রদেশে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। কার্যত উত্তর এবং পশ্চিম ভারত এবারের বর্ষায় বিধস্ত হয়ে পড়েছে।মানুষজন নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ছে। গত শনিবার রাত থেকে টানা ৮ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে ২১৯মিলিমিটারের থেকে আরো বেশি। এক নাগাড়ের বৃষ্টির জেরে দেখা গিয়েছে হড়পা বান। তিনজনের মৃত্যুর খবর ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে।
গুজরাটে ভারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাট এলাকায়। যার ফলে সেখানে নদী বাঁধের অবস্থাও ভয়াবহ। বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে একাধিক নদীর জল। নীচু এলাকাগুলি ইতিমধ্যেই জলে ভেসে গিয়েছে। শহরের একাধিক রাস্তাঘাট জলমগ্ন তবে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে নভসারি ও জুনাগর এলাকা। এই হড়পা বানের যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে উঠেছে তা অত্যন্তই মর্মস্পর্শী। চোখের নিমেষে দেখা যাচ্ছে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি থেকে গবাদি পশু জলের তোড়ে ভেসে চলেছে।
মানুষজন জলে স্রোতের বিপরীতে কোনরকম ভাবে নিরাপদ স্থানের পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। সামান্য অসাবধান হলেই ঘটে যেতে পারে বড়সড় বিপত্তি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বিপর্জয় মোকাবিলা বাহিনী তৎপর হয়ে উদ্ধার চালিয়ে যাচ্ছেন। নভসারি এলাকায় যে দুজন জলে ভেসে গিয়েছিল বলে জানা যায় একজনকে উদ্ধার করা গেলেও অপরজনকে উদ্ধার করা যায়নি। গত শনিবার থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে সুরাট আমরেলি ভারুচ তাপি ভাবনগর দ্বারকাতে।
মৌসম ভবন ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন সৌরাষ্ট্র কচ্ছ এলাকায় রবিবার পর্যন্ত ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েইছে। মৎস্যজীবীদেরও তাই সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। গত ২২ শে জুলাই থেকে আগামী ২৬ শে জুলাই পর্যন্ত। মৌসম ভবনের করা সতর্কবাণী তিন থেকে চার দিন যে একনাগাড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে তাতে করেই গুজরাটবাসীর মনে ভয় তৈরি হচ্ছে।