রাগিং আটকানোর জন্য এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কুইক রেসপন্স টিম তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই এই দল থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বা হোস্টেলে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারবে এই টিম।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর যেভাবে উত্তাল হয়েছে সারা পশ্চিমবঙ্গ তারপর এই পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্টি রাগিং কমিটি থাকে কিন্তু সেই কমিটি থাকার পরেও কিভাবে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে একের পর এক তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে পড়ুয়াদের একাংশ বাধা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু কেন সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো যাবে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বুদ্ধিজীবীদের একাংশ।
প্রসঙ্গত, এখনো পর্যন্ত সৌরভ সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনা নেপথ্যে কি কি রয়েছে তা একে একে জানতে পারছে কলকাতা পুলিশ। একটি মর্মান্তিক এবং অসহনীয় একটি রাতের চিত্র ফুটে উঠেছে গোটা পশ্চিমবঙ্গের কাছে যা এক কথায় আমাদের কাছে দুঃস্বপ্ন।
গতকাল অর্থাৎ রবিবার প্রথম ধৃত সৌরভ চৌধুরী মিডিয়ার কাছে দাবি করেছেন, তিনি একেবারেই নির্দোষ। তিনি গরিব বলে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। যদিও যে সমস্ত ঘটনা সামনে উঠে এসেছে তারপরে সৌরভকে বিশ্বাস করা অসম্ভব। সৌরভের নেতৃত্বেই যে গোটা ঘটনাটি ঘটেছে তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে সকলের কাছে তাই এখন ধৃতদের চরম শাস্তির দাবি করছে পশ্চিমবঙ্গবাসী।