মধ্যবিত্ত ঘরের বিয়ের পর সকল নবদম্পতি ঘুরতে যাওয়ার কথা বললেই দিঘা, পুরী নতুবা দার্জিলিং যান। তবে অনেকেই আবার মলদ্বীপ, কেরল কিংবা গোয়ায় যান মধুচন্দ্রিমা করতে। এবার সেই একঘেয়েমি কাটাতে আমরা আজ আপনাদের এমন একটি জায়গায় সন্ধান দিতে চলেছি, যেখানে গেলে রথ দেখা কলা বেচা সবই হবে। জায়গাটি হলো গোপালপুর। এখানে গেলে আপনি সমুদ্র দেখার পাশাপাশি জগন্নাথ মন্দিরও দর্শন করতে পারবেন। ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় গোপালপুর অবস্থিত। একেবারে নিরিবিলিতে সময় কাটানোর জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান। আপনি চাইলেই এখান থেকেই গাড়ি করে ‘ওড়িশার কাশ্মীর’ অর্থাৎ দারিংবাড়ি ঘুরে নিতে পারেন। আসুন তবে জেনে নেওয়া যাক এখানে কী ভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কী কী দেখবেন সেই সব যাবতীয় তথ্য।
কী ভাবে যাবেন?
আপনাকে প্রথমে হাওড়া থেকে ভুবনেশ্বরগামী যেকোনো ট্রেনে করে চলে আসতে হবে বেরহামপুর। এবার সেখান থেকে ঘণ্টাখানেক সময় লাগবে গোপালপুর যেতে। এছাড়া আপনি সড়কপথেও এখানে আসতে পারেন, তবে সেক্ষেত্রে সময় লাগবে প্রায় ১২ ঘণ্টা। যদি বিমানে করে আসতে চান, তবে ভুবনেশ্বরে নেমে, সেখান থেকে গাড়িতে করে ঘণ্টা চারেকের মধ্যে পৌঁছে যাবেন গোপালপুর।
কোথায় থাকবেন?
আপনি এখানে গিয়ে ওড়িশা পর্যটন বিভাগের হোটেলে থাকতে পারেন, তবে ভরা সময়ে ঘর পাওয়া খুব মুশকিল, তাই আগে থেকে ঘর বুক করে রাখলে ভালো হয়। আর তাছাড়া এখানে বিভিন্ন দামের হোটেল আছে। আপনি চাইলে একটু বেশি টাকা খরচ করে সমুদ্রমুখী ঘর নিয়ে থাকতেই পারেন।
কী কী দেখবেন?
গোপালপুরের প্রধান আকর্ষণ হলো সমুদ্র, তাই আপনি বেশির ভাগ সময়ই সমুদ্রতীরে ঘুরতে পারেন। এখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে বেশ ভালো লাগে। এছাড়াও গোপালপুর থেকে খানিক দূরেই রয়েছে লাইট হাউস, নির্মল ঝোরা এবং তারাতারিণী মন্দির। আপনি সেই স্থানগুলি ঘুরে নিতে পারেন। এরপরের দিন আপনি যেতে পারেন রম্ভায়। পুরীর চিল্কারই বিস্তৃত অংশ হলো রম্ভা। আর পড়ন্ত বিকেলে নৌকাবিহার বেশ ভালোই উপভোগ করতে পারবেন। আর তারপরের দিন বারাকুল থেকে নৌকা করে নলবন এবং মোহনা থেকে ঘুরে আসতে পারেন।