এবার ধর্ষকদের এনকাউন্টার করার পক্ষে প্রশ্ন করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় অধিবেশন শুরু হলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের ঘটনা এবং পুলিশের ভূমিকা তুলে বিজেপি নেতা প্রশ্ন করেন। শুধু তাই নয়, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও নিন্দা করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় উত্তরবঙ্গে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি ধর্ষণ এবং খুনের উল্লেখ করে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ অভিযোগ করেন, মাটিপাড়া এবং তুফানগঞ্জ এ দুজন নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে যখন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে মিছিল করা হয় তখন পুলিশ লাঠিচার্জ করে। শুধু তাই নয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে শরাব হয়ে অধিবেশন পক্ষ থেকে ওয়াক আউট করেন বিরোধী দলের সংসদরা।
অধিবেশনের বাইরেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সমালোচনা করে শুভেন্দু বলেন, মাত্র দুদিনের মধ্যেই তিন জন নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অপরাধীদের মন থেকে একেবারেই ভয় চলে গেছে কারণ আমাদের সমাজে আইনের কোন জায়গা নেই। অপরাধীরা সদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে যোগী আদিত্যনাথ এর মত একজন কড়া প্রশাসক দরকার। প্রয়োজনে দোষীদের এনকাউন্টার করে মেরে দেওয়া উচিত।
শুভেন্দুর এই কথার জবাবে তৃণমূল পরিশোধীয় দলের উপ-মুখ্য সচেতন তাপস রায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারীরা যতই এ রাজ্যকে যোগী রাজ্য করে তোলার চেষ্টা করুক না কেন, যা হবে আইনের পথেই মেনে চলা হবে। তিনি আরো বলেন, এনকাউন্টার বলতে কী বোঝানো হচ্ছে? সংবিধানে কি এমন কথা বলা রয়েছে?
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে মাটিগাড়ার একটি নির্জন এলাকায় স্কুলের পোশাক পরিহিত একটি নাবালিকার দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার দুষ্কৃতীরা ধর্ষণ করে ওই নাবালিকাকে খুন করে ফেলেছে। এছাড়াও তুফানগঞ্জে আরো একটি ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে এদিন উত্তপ্ত হয় বিধানসভা।