গোটা দেশ জুড়ে এখন ঝর তুলেছে সংসদে হানার বিষয়টি। গত বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ অধিবেশন চলাকালীন দর্শক আসন থেকে নীচে ঝাঁপ মেরে দুই জন দর্শক আসন থেকে নীচে ঝাঁপ মেরে দু’জন ছুড়তে থাকেন সেই রংবোমা ছুড়তে থাকেন। লোকসভার অধিবেশন কক্ষের একাংশ ঢেকে যায় ঘন হলুদ ধোঁয়ায়। শুধু সংসদ ভবনের ভিতরেই নয়, বাইরের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ঢুকে ‘তানাশাহি নহি চলেগি’ স্লোগান তোলেন আরো দুইজন। জানা যায় যে, বিজেপির মাইসুরু কেন্দ্রের সাংসদ প্রতাপ সিংহের দেওয়া প্রবেশপত্র নিয়ে জুতোয় রংবোমা লুকিয়ে সংসদ ভবনে প্রবেশ করেছিলেন সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি নামে দুই যুবক।
সংসদ ভবনের বাইরে ছিলেন অমল শিন্ডে এবং নীলম। তাদের হাতেও ছিল ‘স্মোক গ্রেনেড’। অভিযুক্ত এই চার জনকেই ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঐদিনের এই ঘটনায় দেশ জুড়ে হইচই পড়ে গেছে। অনেকে সেই ২২ বছর পূর্বের সংসদ ভবন হামলার স্মৃতি মনে করে শিহরিত হয়েছেন। এখন প্রশ্ন হলো কেন এই হানা? কী উদ্দেশ্য তাদের? মূল কান্ডারী কে? এমন হাজারো প্রশ্নের ভিড়ে আরো একটি প্রশ্ন উঠছে সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। সংসদে হানা দিয়ে যাঁরা দেশ জুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ উচ্চশিক্ষিত, তো কেউ আবার রিকশাচালক।
সংসদে অনুপ্রবেশের আগে সাগর তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে হিন্দিতে লেখেন, ‘‘জিতে ইয়া হারে, পর কোশিশ তো জ়রুরি হ্যায়। অব দেখনা ইয়ে হ্যায় সফর কিতনা হাসিন হোগা। উম্মিদ হ্যায় ফির মিলেঙ্গে’’। হরিয়ানার মেয়ে নীলম সংসদে অনুপ্রবেশের দুই দিন আগে এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘সংসদ এবং বিধানসভায় ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রাখা উচিত। হরিয়ানায় গ্রাম পঞ্চায়েতে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত। তা হলে সংসদ এবং বিধানসভায় নয় কেন?’’ উল্লেখ্য যে, নীলম এবং সাগর তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগত সিংহ, সুখদেব থাপার এবং শিবরাম রাজগুরুর প্রতি তাদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। দুইয়ে দুইয়ে চার করে তদন্তকারীদের অনুমান, সমাজমাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাদের।