আজকাল ঘরে ঘরে শোনা যায় কোমরে ব্যথা। মূলত অনিয়ন্ত্রীত জীবনযাপন, পুষ্টির অভাব, ভুল ভাবে বসা এবং আরো অন্যান্য কারণে এই সমস্যা এখন প্রায় সব বয়সের মানুষের মধ্যেই দেখা যায় এবং তা উত্তরোত্তর বেড়ে গেছে। সামনেই দুর্গাপুজো, আর পুজোর আগে অনেকেই স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ সচেতন হয়ে ওঠেন। দ্রুত ওজন কমানোর তাগিদে অনেকেই জিম করতে শুরু করেন। তবে, কেবল রোগা হতেই নয়, শরীরের নানা সমস্যার সমাধান করতে কিছু যোগাসন রয়েছে, যেগুলি শরীরের নানা সমস্যা থেকে দিতে পারে মুক্তি ৷ যদি সেগুলি সঠিক নিয়মে অভ্যাস করা যায়, তাহলে পাওয়া যায় সুফল। বহু মানুষ দিনের বেশিরভাগ সময়ে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে কাটান, ফলে পা এবং কোমরের বেশ কিছু পেশিতে ক্রমশ কাঠিন্য এসে যায়। এই কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে পেশি এবং অস্থিসন্ধি। তাই পুজোর আগে শরীরকে তরতাজা রাখতে শিখে নিন অর্ধ তিতলি আসন। এই আসন করার সময়ে ঠিক আধখানা প্রজাপতির মতো দেহভঙ্গি করতে হয়। আর এই আসন করলে পায়ের পেশিগুলি হয়ে ওঠে সক্রিয়।
এই আসন কীভাবে করবেন?
এই আসীন করতে প্রথমে ম্যাটের উপর পা ছড়িয়ে শিরদাঁড়া ও মাথা সোজা করে বসে ডান পা মুড়ে হাঁটু ভাঁজ করে বাঁ ঊরুর উপরে রাখতে হবে। বাঁ হাত দিয়ে ডান পায়ের পাতা ও ডান হাত দিয়ে হাঁটু ধরে, ডান পা যতটা সম্ভব দূরে রাখা যায়, তার চেষ্টা করতে হবে। তবে, বেশি চাপ যেন না পড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এরপর স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস নিতে নিতে বাঁ হাত দিয়ে ডান হাঁটুর ঊরুর নীচের অংশে চাপ দিয়ে তাকে বুকের কাছে নিয়ে আসতে হবে যতটা সম্ভব। বেশি জোর করে করার দরকার নেই। আর ডান হাত তখনও কিন্তু হাঁটুর উপরেই থাকবে। এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাঁটু মাটিতে নামাতে হবে। এই ভাবে ৫ থেকে ৭ বার এই আসনটি অভ্যাস করতে হবে। এই একই পদ্ধতিতে বাঁ পায়ের ক্ষেত্রেও অর্দ্ধ তিতলি আসন অভ্যাস করতে হবে, অর্থাৎ এক বার ডান পা আর এক বার বাঁ পায়ে পর্যায়ক্রমে এই আসন অভ্যাস করতে হবে। আপনাদের বলি, এইভাবে পা ভাঁজ করা ও সোজা করার ফলে পায়ে টান ধরার সমস্যা কমবে।
এই আসন কেন করবেন?
আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই অর্ধ তিতলি আসন যদি নিয়মিত অভ্যাস করা যায়, তবে পায়ের অভ্যন্তরের কিছু শক্ত হয়ে যাওয়া পেশি খানিকটা শিথিল হবে। রেহাই মিলবে পায়ে টান ধরার সমস্যা থেকে। এর পাশাপাশি কার্যক্ষমতাও বাড়বে হাঁটু ও কোমরের অস্থিসন্ধির।