বড় জোর ধাক্কা খেলেন ডোনান্ড ট্রাম্প, তাও আবার আমেরিকার নির্বাচনের আগে। ক্যাপিটল হামলাই কাল হল ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের সেই ঘটনার জন্য প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘অযোগ্য’ বলে ঘোষণা করে কলোরাডো সুপ্রিম কোর্ট আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি বাতিল করে দিল। মার্কিন আদালতের মঙ্গলবারের এই রায়ে সামনের বছর আমেরিকার প্রেসিনডেন্সিয়াল নির্বাচনে আর প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না ট্রাম্প।
এর ফলে আগামী বছর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে বড় বাধার সামনে পড়লেন তিনি। এই প্রথম কোনও প্রার্থীকে হোয়াইট হাউসের ক্ষমতা দখলের লড়াইতে অযোগ্য বলে ঘোষণা করল আদালত। আমেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী যাঁর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটলো। মার্কিন যুক্তরষ্ট্রের ইতিহাসে এই ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। কলোরাডো সুপ্রিম কোর্টের এই রায় আপাতভাবে সামনের বছরের মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হলেও এর প্রভাব নভেম্বর মাসে সাধারণ নির্বাচনের উপরেও পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সেই নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পকে বড় বাধার সামনে পড়তে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ২০২৪ সালে রিপাবলিকান মনোনয়নের জন্য দেশের সংবিধান অনুযায়ী ট্রাম্প অযোগ্য, কারণ সরকারের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনায় উস্কানি দিয়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটে জো বাইডেনের কাছে হেরে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তার পরেও ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হচ্ছিলেন না তিনি। তাঁর নির্দেশেই তাঁর অনুগামীরা ক্যাপিটলে হামলা চালিয়েছিল। এরপরেই কলোরাডোর একদম ভোটদাতা তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল।
তাদের আইনি সহায়তা দিয়েছিল ওয়াশিংটনের সিটিজেনস ফর রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড এথিক্স নামে একটি সংস্থা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার এমন ঐতিহাসিক রায় দিল আদালত। যদিও ট্রাম্পের অনুগামীরা আদালতের সিদ্ধান্তকে “ত্রুটিপূর্ণ” বলে অভিহিত করেছে এবং তারা জানিয়েছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও তারা ভাবছেন এবং এর পাল্টা আপিল করা হবে, যাতে এই রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।