১৯৭১ সালের ৭ই আগস্ট পর্যন্ত মার্কিন মহাকাশ সংস্থার(NASA) তৈরি চার চাকার গাড়ি, চাঁদের মাটিতে অবলীলায় ঘুরে বেড়িয়েছিল। লুনার রোভার তখন ম্যানুয়াল ছিল, সেটি ছিল অ্যাপেলো – ১৫ মিশন। তবে বর্তমানে যে গাড়িগুলি চাঁদে পাঠানো হবে সেগুলি হবে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়। তখন ছাদহীন গাড়ি চালানো হতো চন্দ্রপৃষ্ঠে, কিন্তু এবার থেকে মহাকাশচারীদের মাথার উপর থাকবে ছাদ।
চাঁদ(Moon) এবং মঙ্গল গ্রহে পাঠানো গাড়িগুলি তৈরি করবে আমেরিকান বিমান এবং রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্কিন এবং গাড়ি এবং ইঞ্জিন নির্মাতা জেনারেল মোর্টস। গাড়িগুলি পরীক্ষা করে নিয়ে তবেই পাঠানো হবে চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহে।
এই প্রসঙ্গে লকহিড মার্কিন ও জেনারেল মোর্টস জানিয়েছেন, তারা এমন একটি বাজার তৈরি করতে চলেছেন যার সাহায্যে মহাকাশচারীরা চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহে দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবেন ভীষণ সহজে। এর আগে চাঁদে যে গাড়িটি অবতরণ করানো হয়েছিল সেটি তার স্থান থেকে মাত্র ৬.৪৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পেরেছিল। কিন্তু এবারে অনেক বেশি দূরত্ব অতিক্রম করার সুযোগ পাবে মহাকাশচারীরা।
নতুন স্বয়ংক্রিয় গাড়িটি একটি অত্যাধুনিক প্রজন্মের রোভার হবে, যা চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার কে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে। এই গাড়িগুলি নিঃসন্দেহে বিজ্ঞানকে আরো বেশি উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে। চাঁদের কম মাধ্যাকর্ষণ পৃষ্ঠে যাতে গাড়িগুলি স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারে তার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। চাঁদের পৃষ্ঠে গাড়ি চালানো পৃথিবীর থেকে অনেক কঠিন কারণ চাঁদের ঘন অন্ধকার ঠান্ডা এবং খারাপ পৃষ্ঠ। এছাড়াও অভিকর্ষের প্রভাব চাঁদ এবং পৃথিবীতে একেবারে আলাদা।
চাঁদে দিন এবং রাত ১৪ দিন দীর্ঘ, দিনের বেলা তাপমাত্রা থাকে ১২৬° সেলসিয়াস এবং রাতে -১৭৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাই গাড়ি গুলি কি এমন ভাবেই তৈরি করতে হবে যাতে সব রকমের তাপমাত্রা সহ্য করতে সক্ষম হয় এই গাড়িগুলি।