চলতি বছরের ২রা জানুয়ারি বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশের চট্টগ্রামের হিন্দু সাধু চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আর্জি ফের খারিজ করে দিল চট্টগ্রাম আদালত। ২০২৪ সালের ২৫শে নভেম্বর চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তারপর থেকে তিনি জেলেই রয়েছেন। ২০২৪ সালের ২৬শে নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদন খারিজ করে।
সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আদালতের সামনে শুরু হয় হিন্দুদের বিক্ষোভ। হিন্দু বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আইনজীবী আলিফকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সেই মুহূর্তে ১১ জন বিক্ষোভকারীকে খুনের অভিযোগে সরাসরি গ্রেফতার করে। এমনকি আদালতে ভাঙচুর, অশান্তির মামলায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর গত ৩রা ডিসেম্বর আদালতে ওই মামলার শুনানি শুনানি থাকলেও জামাত-সহ কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠনগুলির হুমকির জেরে চিন্ময়কৃষ্ণের পক্ষে কোনো আইনজীবী এজলাসে হাজির হতে পারেননি বলে অভিযোগ ওঠে।
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ৩রা জানুয়ারি এই মামলার শুনানিতে আশা করা হয়েছিল যে তিনি জামিন পাবেন, তবে তেমনটা হল না। গত বুধবার রাতে ঢাকা থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বারোজন আইনজীবী চট্টগ্রাম যান। বৃহস্পতিবার তারা চিন্ময়ের হয়ে সওয়াল করেন। বৃহস্পতিবার চিন্ময়ের জামিন মামলার শুনানির কারণে চট্টগ্রাম আদালতে নজিরবিহীন নিরাপত্তা দেখা হয়। পুলিশ ছাড়াও সেনা এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবির জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়। আদালতে প্রবেশের সময় প্রত্যেকের পরিচয়পত্র যাচাই করা হয়। চিন্ময় অনুগামীদের আদালত এলাকায় ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি বলেই খবর। ওইদিন সকালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মহম্মদ সাইফুল ইসলামের আদালত দুই পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।