বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
Homeকলকাতাব্রাত্যের ইঙ্গিতে কি বুদ্ধ-পদত্যাগ, প্রশ্ন সকলের মনে

ব্রাত্যের ইঙ্গিতে কি বুদ্ধ-পদত্যাগ, প্রশ্ন সকলের মনে

নিয়োগ দুর্নীতি কান্ড নিয়ে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে ইডির মাধ্যমে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতা। এক এক করে যেন পর্দা ফাঁস হচ্ছে তৃণমূলের। সেই সঙ্গে তৃণমূল দলের নেত্রীর ভাবমূর্তি তবে এই বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

তাঁর মতে, দলের একজন যদি চোর হয় তাহলে সকলেই চোর হয় না। নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে তৃণমূলের একাধিক নেতার নাম উঠে আসে তাহলে সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি কখনোই ক্ষুন্ন হবে না।”তিনি বাম আমলে চাকরির বিষয় নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন কোথায় উঠে এসেছে তিন দশক পুরনো একটি ঘটনা ।

১৯৯৩ সালে তৎকালীন মন্ত্রিসভা থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পদত্যাগ করেছিলেন সেই সময়ে সকলের মুখে শোনা গিয়েছিল তখনকার মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর মন্ত্রিসভা কে,” চোরের মন্ত্রিসভা” বলে আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

ব্রাত্য বসু শুক্রবার সেই প্রসঙ্গই টেনে নিয়ে আসলেন। ব্রাত্য বসুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে যেভাবে একাধিক তৃণমূলের নেতার নাম উঠেছে তাতে কি তৃণমূল দলের ভাবমূর্তি কি নষ্ট হচ্ছে? সে বিষয়ে ব্রাত্য বসু উত্তর দিয়ে জানান,” নিশ্চয়ই ভাবমূর্তির প্রশ্ন আছে। তবে দিদির ভাবমূর্তি কখনোই ফিকে হয়নি। কেউ যদি চোরেদের মন্ত্রিসভা বলে পদত্যাগ করেন তবে তার মানে এই নয় যে সবাই চোর। একটা দুটো হয়তো থাকলেও থাকতে পারে।”

গত বছর ইডির হাতে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলীয় সমস্ত পথ থেকে ইতিমধ্যেই সরানো হয়ে গেছে। এছাড়া নাম জড়ায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের। তদন্ত এগোনোর সাথে সাথেই উঠে আসে হুগলির দুই যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। ইতিমধ্যেই এই দুজন তৃণমূল দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে তবে, এত কিছু ঘটার পর অবশ্যই তৃণমূলের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক।

তবে তিন দশক আগে প্রশ্ন উঠেছিল বুদ্ধদেবের পদত্যাগকে ঘিরে। রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রি সভাকে চোরদের মন্ত্রিসভা বলে আখ্যা দিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পদত্যাগ করেছিলেন যার ফলে রাজ্য রাজনীতিতে যথেষ্ট তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে ব্রাত্য বসুর এরকম প্রসঙ্গ তুলে আনার পরবর্তীকালে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি যে, শিক্ষামন্ত্রীর কথা শুনে মনে হচ্ছে যে দলে অসাবধানতার কিছু বেনোজল প্রবেশ করেছে, কিন্তু তাই বলে গোটা দলকে তারা প্রতিনিধিত্ব করেনা যার ফলে দলের ভাবমূর্তিতে সেভাবে কোন রকমই প্রভাব পড়ে না।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments