শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি বিবৃতি জারি করে নবান্ন ঘোষণা করে দিল, দিয়ে ধর্মঘটের কোন প্রভাব পড়েনি সরকারি দপ্তর গুলির ওপর। ৯০ শতাংশ সরকারি কর্মচারী শুক্রবার যথাসময়ে নিজ নিজ কাজে যোগদান করেছিলেন। প্রশাসনিক কাজে কোন রকম সমস্যা তৈরি হয়নি। তবে নবান্ন বলেছেন, যে সমস্ত ব্যক্তি সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে শুক্রবার সকালে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন গুলি ধর্মঘটে সামিল হয়েছিল। তবে ধর্মঘট হওয়ার আগেই নবান্ন একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দিয়েছিল, ধর্মঘটের দিনে গড় হাজির কর্মচারীদের বেতন কাটা হবে। এমনকি কর্মজীবনেও ছেদ পড়তে পারে।
অর্থ দপ্তর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছিল, চারটি শর্তে শুক্রবার ছুটি পেতে পারে রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা। ১) কোন কর্মচারী যদি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকেন।২) পরিবারে কারো যদি প্রয়াণ ঘটে।৩) কোন কর্মী যদি নয় মার্চের আগেই গুরুতর কোনো অসুখের কারণে অনুপস্থিত থেকে থাকেন।৪) সন্তান পালনের ছুটি অথবা মাতৃত্বকালীন ছুটি আগে থেকেই যদি মঞ্জুর হওয়া থাকে।
শুক্রবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে নবান্ন জানিয়েছেন, শুক্রবার যে বাকি ১০% মানুষ কাজে যোগদান করেনি তাদের অধিকাংশ ছুটি সংক্রান্ত বৈধ কারণ ছিল তবে যারা নির্দেশ অমান্য করে অফিসে আসেননি তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়া হবে। সক্রিয়ভাবে যোগদান না করলেও এই সমস্ত কর্মীরা পরোক্ষভাবে যোগদান করেছিল ধর্মঘটে এমনটাই মনে করা হচ্ছে, নবান্নর তরফ থেকে।
প্রসঙ্গত, নবান্ন তরফ থেকে যাই বলা হোক না কেন ধর্মঘটের শামিল হওয়ার রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনগুলো কিন্তু দাবি করেছিল, গোটা রাজ্য প্রশাসন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে এই ধর্মঘটের প্রভাবে। কর্মচারীদের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পাওয়া গেছে। এমনকি খাদ্যভবন, নব মহাকরণ, কৃষি বিপণন ভবন, ক্রেতা সুরক্ষা ভবনে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে।