বর্তমান সময়ে শিরোনামে রয়েছে দিল্লি কাণ্ড। আসলে গত শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লির কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে জল ঢুকে মৃত্যু ঘটেছিল তিন পড়ুয়ার। সেই তিনজন পড়ুয়া হলেন ২৫ বছর বয়সী তানিয়া সোনি ও শ্রেয়া যাদব এবং ২৮ বছর বয়সী নবীন ডেলভিনের। তারা দিল্লির কোচিং সেন্টারে আইএএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ওই দিনের ওই ভয়াবহ কান্ডের একাধিক ভিডিয়ো গোটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায় যে, সিঁড়ি দিয়ে হু হু করে জল ঢুকছে বেসমেন্টে। আর তার মধ্যে দিয়ে কোনক্রমে ব্যাগ হাতে উঠে আসছেন পড়ুয়ারা। কেউ কেউ আবার অসুস্থও হয়ে পড়ছেন।
এই মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে গত রবিবার প্রথমে ও কোচিং সেন্টারের মালিক এবং এক কো-অর্ডিনেটরকে গ্রেফতার করেছিল, যাদের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এরপর সোমবার পুলিশ ফের গ্রেফতার করেছে আরও পাঁচ জনকে, যাদের পুলিশ আদালতে হাজির করাবে বলে জানা গেছে। এমনকি এই ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নেয়া হতে পারে বলেও জানা গেছে। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো সাত জন। পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, এই মৃত্যু কান্ডে নতুন করে যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে এক জন ছিলেন গাড়ির চালক, যিনি ওই ঘটনার দিন জমা জলের মধ্যে দিয়ে জোরে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলেও রয়েছে অভিযোগ।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে যে, মূলত জলের স্রোতের ধাক্কাতেই কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টের দরজা ভেঙে গেছিল। দিল্লি পুলিশের ডিসিপি সেন্ট্রাল এম হর্ষবর্ধন বলেছেন, ‘‘দিল্লির ঘটনায় আমরা আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাঁদের মধ্যে চার জন ওই বেসমেন্টের মালিক। এ ছাড়া এক জন গাড়ির চালক রয়েছেন। তাঁকে ঘটনার আগে ওই এলাকা দিয়ে জমা জলের উপর জোরে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। যে কারণে বেসমেন্টের দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং জল ঢুকতে শুরু করে। বেসমেন্টে কোনোরকম ব্যবসায়িক কাজের অনুমতি ছিল না। আমরা এই বিষয়ে দিল্লি পুরসভার কাছ থেকে আরও তথ্য চেয়েছি। সব তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের কাছে আমাদের অনুরোধ, এলাকায় শান্তি বজায় রাখুন এবং রাস্তা আটকে রাখবেন না। দোষীদের কড়া শাস্তি হবে, বিশ্বাস রাখুন।’’