আগে ষষ্ঠীর দিনও ঠাকুর দেখা শুরু হত না মানুষের কিন্তু এখন মহালয়ার দিন থেকেই ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়ছেন সকলেই। অনেকে ভোররাতে ঠাকুর দেখে ফেলেন অনেকে আবার সারারাত জেগে ঠাকুর দেখার প্ল্যান করেন। শহরে আনাচে-কানাচে ছোট থেকে বড়, সমস্ত ঠাকুর দেখে ফেলতে হবে মাত্র পাঁচ দিনে।
সারারাত জেগে বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া আর ঠাকুর দেখার আনন্দই আলাদা। তবে সারা রাত জেগে পুজো কাটালে পরের দিনের কথাও চিন্তা করতে হবে। আগে দেখতে হবে শরীর কিভাবে চাঙ্গা রাখবেন আপনি। আজ আপনাদের জানাবো কি করে সারারাত ঠাকুর দেখেও পরের দিন চাঙ্গা হয়ে আবার ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়তে পারবেন আপনি।
১) রাত জেগে ঠাকুর দেখা মানেই উল্টাপাল্টা খাওয়া আর বদহজম। সবসময় হাতের কাছে ওষুধ রাখতে হবে তাই। শরীর খারাপ করলেই সব সময় ওষুধ খেয়ে নিতে হবে। রাতে যদি জাগার প্ল্যান থাকে তাহলে হালকা খাবার খাবেন।
২) গাড়ি করে বেরোলেও মণ্ডপ দিয়ে আপনাকে হাঁটতেই হবে। অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে তাই প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। রাস্তায় বেশি জল খাবেন না তাহলে আবার বাথরুমের সমস্যা হতে পারে। সারাদিন বেশি করে জল খেয়ে শরীরকে সুস্থ রাখবেন আর রাস্তায় অল্প অল্প জল খাবেন যাতে শরীর শুকিয়ে না যায়।
৩) এবছর পূজোর শেষের দিকে বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা আছে তাই সবসময় হাতের কাছে ছাতা রেখে দেবেন। বৃষ্টিতে একেবারেই ভিজবেন না তাহলে সম্পূর্ণ পুজো মাটি হয়ে যাবে।
৪) পুজোর সময় ডেঙ্গুকে অবহেলা করলে চলবে না। এখন খুব ডেঙ্গু হচ্ছে তাই পুজোয় বেরোনোর আগেই হাতে পায় ভালো করে মশা মারার ক্রিম মেখে বেরোবেন।
৫) সারারাত ঠাকুর দেখলে অবশ্যই পরের দিন ছয় ঘন্টা ঘুমাবেন। ঘুম না হলেই শরীর খারাপ হয়ে যাবে।