তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে মহালয়ার দিন দলের মুখপাত্রের উৎসব সংখ্যা প্রকাশের অনুষ্ঠানে সশরীরে থাকতে পারেন তার জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল। দিদিরও ইচ্ছে ছিল নজরুল মঞ্চে সবার শরীরে উপস্থিত হওয়ার কিন্তু চিকিৎসকদের নিষেধাজ্ঞার কারণে এখন আপাতত বন্দি দশা কাটাতে হচ্ছে দিদিকে।
বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাড়ি থেকে ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধনে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানালেন, আগামী ২৭ অক্টোবর এর আগে তিনি কোনোভাবেই বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না। ঐদিন রেড রোডে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পুজো কার্নিভালে তিনি সশরীরে উপস্থিত থাকবেন।
বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কলকাতা এবং জেলার কয়েকশো পুজোর উদ্বোধন করেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভার্চুয়াল উদ্বোধনের মাধ্যমেই তিনি বলেন, আমি এমনিতেই ভালো আছি কিন্তু পাই এখনো সংক্রমণ রয়ে গেছে। আমাকে আইভি ইনজেকশন নিতে হচ্ছে। ভালো করে হাঁটতে পারছি না।
মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা শুনে স্পষ্ট হয়ে যায় শনিবার দলীয় মুখপত্রের উৎসব সংখ্যার উদ্বোধনে তিনি থাকতে পারছেন না। তবে পুজো উদ্বোধনী না যেতে পারলেও ২৭ তারিখ কার্নিভালে তিনি থাকবেন বলে নিজেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, গত ১২ সেপ্টেম্বর তিনি স্পেন এবং দুবাই সফরে গিয়েছিলেন এবং ফিরেছিলেন ২৩ সেপ্টেম্বর। স্পেনে থাকাকালীন পুরনো ছুটির জায়গায় ফের আঘাত লাগে মুখ্যমন্ত্রীর। কলকাতায় ফিরে এসে ২৪ সেপ্টেম্বর এসএসকেএম হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের চিকিৎসা করা হয় তারপর থেকেই তিনি বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন।
ইউনেস্কো বাংলা দুর্গাপূজোকে ঐতিহ্যের তকমা দেবার পর এবার কলকাতার প্রথম পুজো। পুজো উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবার আমাদের কলকাতায় অনেক বিদেশী অতিথি আসবেন। তাদের স্বাগত জানানোর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কোন বিদেশী অতিথি এলেই শঙ্খ বাজিয়ে উলুধ্বনি করে তাদের স্বাগত জানাবেন আপনারা। মেয়েদের বলবেন শিশিতে নলের গুড়ের নাড়ু বানিয়ে রাখতে। ওটাই আমাদের ট্রাডিশন। অতিথিদের দেখলেই নাড়ু তুলে দিতে বলবেন তাঁদের হাতে।