আবারো ডেঙ্গুর চোখ রাঙানিতে কাবু গোটা কলকাতা। চলতি বছরে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০০ জনের গণ্ডি পেরিয়ে গেছে। দৈনিক প্রায় ১০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। এরই মধ্যে ২১ এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি সোনা গিয়েছিল তবে বুধবার ছবিটা কিছুটা নিম্নগামী বলে জানিয়েছেন কলকাতা পৌরসভা।
কলকাতা পৌরসভা জানিয়েছেন, ২১ এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ঝোপ জঙ্গলে এবং শিশু উদ্যান থেকে বৃষ্টির জলের মশা লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। যদিও সেখানকার প্রতিনিধিরা দাবি করেছেন, এলাকা নিয়মিত সাফ করা হয়। যে দুই ওয়ার্ড থেকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা শোনা যাচ্ছে সব থেকে বেশি সেখানে এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, ব্লিচিং ছড়ানো এবং মশার ওষুধ স্প্রে করার মত আরো বেশ কিছু বিষয় জোর দেওয়া হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ছে তাই ফাঁকা বা অব্যবহিত জমি পড়ে থাকছে এবং সেখানে জল জমে মশার লার্ভা উৎপন্ন হচ্ছে। অবিলম্বে সবকিছু পরিষ্কার না করলে আরো আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাবে।
এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দমদম পৌরসভা সূত্র থেকে খবর পাওয়া গেছে, ইতিমধ্যেই ১৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। পুর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় কম বেশি ২০০ জন। পৌরসভা ইতিমধ্যেই জমি গুদাম এবং কালকারখানা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে তেমনভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি।
পৌরসভার চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন, দুটি বাদে সংক্রমণ বেড়েছিল কিন্তু বর্তমানে সেই সংখ্যা কিছুটা কম। তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমবেশি প্রায় একই। প্রতিটি ওয়ার্ডে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজী সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যেখানে সংক্রমণ বেশি সেখানে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে।।