শনিবার, অক্টোবর ১২, ২০২৪
Homeকলকাতা২০টির বেশি প্রশ্নের মুখে যাদবপুরের রেজিস্ট্রার, কী জবাব দিলেন স্নেহমঞ্জু বসু?

২০টির বেশি প্রশ্নের মুখে যাদবপুরের রেজিস্ট্রার, কী জবাব দিলেন স্নেহমঞ্জু বসু?

বুধবার যাদবপুর ঘটনায় অন্তত সাড়ে তিন ঘন্টা ধরে লাল বাজারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার স্নেহমঞ্জু বসুকে। প্রায় ২০ টির বেশি প্রশ্ন করা হয়েছে তাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এবং হোস্টেল সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয় স্নেহ মঞ্জু বসুকে।

বুধবার বিকেল তিনটে নাগাদ স্নেহ মঞ্জু এবং রজতকে তলোক করা হয়েছিল লাল বাজারে। স্নেহমঞ্জু দেবী লালবাজারে গেলেও হাজিরা দিতে পারেনি ডিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ নাকি ডিনকে ঘেরাও করে রেখেছে বলে তিনি হাজিরা দিতে পারেননি এমনটাই জানিয়েছেন রজত বাবু।

তদন্তকারীদের এক সূত্র থেকে জানা গেছে, যাদবপুরের হোস্টেলে কারা থাকবেন এবং তারা ঢুকতে পারবেন বা কারা অনুমতি হয়ে থাকার অনুমতি পাবেন এই বিষয়ে কি কি জানতেন তা জানতে চাওয়া হয় স্নেহমঞ্জু দেবীর কাছে। যেহেতু স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুর তালিকায় যাদের যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের অনেকেই প্রাক্তনী এবং তারা হোস্টেলে থাকতেন গিয়েছে হিসাবে তাই এই বিষয়ে রেজিস্টার কি কি জানতেন তা জানতে চাওয়া হয়।।

শুধু তাই নয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর এবং হোস্টেলে কোথায় সিসিটিভি ক্যামেরা আছে, সেটাও জানতে চাওয়া হয় কিন্তু রেজিস্টার এই ব্যাপারে ডিনকে জিজ্ঞাসা করার জন্য বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্টি রেগিং কমিটি থাকা সত্ত্বেও কিভাবে পড়ুয়ারা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন তাও জানতে চাওয়া হয় রেজিস্টারের কাছ থেকে।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ স্পষ্ট বলা হয়েছিল র‍্যাগিং আটকানোর জন্য ছাত্রাবাসে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের আলাদা করে রাখতে হবে। সেটা সম্ভব না হলে ওয়ার্ডের নিরাপত্তা কর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদের নজরদারি রাখতে হবে ছাত্রদের প্রতি। এই বিষয়টি লংঘন করার জন্যই গত সোমবার যাদবপুর কর্তৃপক্ষকে শোকজ করেছেন কমিশন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments