শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
Homeদেশ১৩০ কিমি বেগে সমুদ্রে বইছে মোকা, কতটা বিধ্বংসী হতে পারে স্থলভাগে জানুন

১৩০ কিমি বেগে সমুদ্রে বইছে মোকা, কতটা বিধ্বংসী হতে পারে স্থলভাগে জানুন

ক্রমশ এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোকা, বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মোকা নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। ধীরে ধীরে নিজের শক্তি সঞ্চয় করে রবিবার দুপুরের মধ্যে সে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে যে সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘন্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ ১৭৫ কিলোমিটারেও পৌছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

৭২ ঘন্টা জলে থাকার ফলে মোকা ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করে এক বিধ্বংসী রূপ নেবার ইঙ্গিতই করছে আবহাওয়াবিদরা, কারণ যে ঘূর্ণিঝড় জলভাগের উপর যত বেশিক্ষণ থাকবে সেই ঘূর্ণিঝড় তত বেশি শক্তিশালী হবে এবং ধ্বংস ক্ষমতা বেশি হয়। সমুদ্র থেকেই সমস্ত শক্তি সঞ্চয় করেছে মোকা এক্ষেত্রেও তাই ঘটছে। গত বৃহস্পতিবার ভোরবেলা মোকা জন্ম নিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। তারপর থেকে ৭২ ঘন্টা হয়ে গিয়েছে সে জলভাগই রয়ে গিয়েছে এবং ধীরে ধীরে তা উত্তরের দিকে এগোচ্ছে এবং মাঝ সমুদ্রে বাঁক নিয়ে তা উত্তর-পূর্ব দিকে ঘুরে যাবে। তারপর সেটি এগিয়ে আসবে মায়ানমার এবং বাংলাদেশের দিকে। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়কে প্রতিমুহূর্তেই নজরে রেখেছেন মৌসম ভবন।

তবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে মোকার দূরত্ব ৯৫০ কিলোমিটার এবং মায়ানমারের থেকে ৮৭০ কিলোমিটার, পোর্ট ব্লেয়ার বন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিম অবস্থান করছে মোকা। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব যদিও বাংলায় তেমন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে না পড়লেও দীঘা মন্দারমনি উপকূল এলাকায় ইতিমধ্যেই সচেতনতার প্রচার করা হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের ইতিমধ্যেই মাঝ সমুদ্রে যেত নিষেধ করা হয়েছে। তৎপর রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলাবাহিনীও এবং লালবাজারও তাঁর কন্ট্রোল রুম খুলে তৈরি। বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে ত্রিপুরা দক্ষিণ মণিপুর এবং মিজোরামে। এমনকি ভূমিধসেরও সম্ভাবনা রয়েছে। চাষের জমিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বড় গাছ উপরে পড়া এমন কি বজ্রপাত থেকেও সাবধান করেছেন আবহাওয়াবিদরা। প্রশাসনের সমস্ত প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বড় ধরনের বিপদে হাত থেকে আদৌ কতটা বাঁচতে পারব আমরা তা সময়ই বলে দেবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments