[ad_1]
অ্যালবার্ট আইনস্টাইনকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে দেখতে চেয়েছিল ইজরায়েল। প্রস্তাবও পৌঁছেছিল তাঁর কাছে। কিন্তু নিজের গণ্ডির বাইরে বেরোতে চাননি আইনস্টাইন। পিছিয়ে এসেছিলেন বিশেষ কারণে। সে সময় বিজ্ঞান শ্রষ্ঠার সিদ্ধান্তকে ঘিরে অনেকই জলঘোলা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু তাঁর এই পদক্ষেপ প্রশংসাও কুড়িয়েছে । তবুও প্রশ্ন উঠেছে, এমন কী হয়েছিল যে পরিকল্পনাটাই বদলাতে হয়েছিল?
অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, গত শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী, যিনি তৈরি করেছিলেন বিশ্ব বিখ্যাত সমীকরণ e=mc^2, যা পারমাণবিক বোমায় নির্গত শক্তিকে ব্যাখ্যা করে। আইনস্টাইন তাঁর ফটোইলেক্ট্রিক প্রভাব আবিষ্কারের জন্য ১৯২১ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারও জিতেছিলেন।তিনি ছিলেন ইহুদি। এদিকে বিশ্বের একমাত্র ইহুদি দেশ ইজরায়েল, ছোট একটি দেশ হয়েও বিশ্বের অনেক শক্তিশালী দেশকে হার মানিয়েছে অনেকবার। আইনস্টাইনের মহান ব্যক্তিত্ব তাঁকে ইজরায়েলের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হওয়ার সুযোগও এনে দিয়েছিল। যদিও তিনি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন প্রস্তাব। আইনস্টাইনের ভাষায়, তাঁর রাজনৈতিক যোগ্যতা নেই, তাই তিনি অস্বীকার করেছিলেন।
কীভাবে রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন আইনস্টাইন
উল্লেখ্য, আইনস্টাইন যদি ইজরায়েলের রাষ্ট্রপতি হতেন,তবে খুব বেশি তার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হত না। কারণ ইজরায়েলেও রাষ্ট্রপতির পদ অত্যন্ত সম্মানিত হলেও, সে দেশের সম্পূর্ণ শাসন ব্যবস্থা ছিল প্রধানমন্ত্রীর হাতে। দেশটি ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হয়েছিল। ইজরায়েলের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন চেইম ওয়েইজম্যান। চার বছর পর ১৯৫২ সালে তাঁর মৃত্যুর পরই শুরু হয়েছিল নতুন রাষ্ট্রপতির খোঁজ। দায়িত্ব নিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক। এদিকে, প্রথম রাষ্ট্রপতি চেইম ওয়েজম্যান ছিলেন আইনস্টাইনের বড় ভক্ত। তিনিই বলেছিলেন যে আইনস্টাইন এই পৃথিবীতে সর্বশ্রেষ্ঠ জীবিত ইহুদি। অতএব প্রথম রাষ্ট্রপতির সৌজন্যেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাথায় আসে আইনস্টাইনের নাম, এরপরেই রাষ্ট্রপতি পদের জন্য প্রস্তাব পৌঁছে গিয়েছিল আইনস্টাইনের কাছে। আমেরিকায় ইজরায়েলের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত আব্বা ইবানও তাঁকে রাষ্ট্রপতি হওয়ার সুপারিশ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন গুরিওনও চেয়েছিলেন আইনস্টাইন যেন এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। এত চাপ সত্ত্বেও মহান বিজ্ঞানী সম্মানের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি হতে অস্বীকার করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ধন্যবাদ জানিয়ে আইনস্টাইন বলেছিলেন, এই পদের জন্য তাঁর অভিজ্ঞতা নেই বা তিনি নিজেকে যোগ্য মনে করেন না। আসলে, আইনস্টাইন বিজ্ঞানের জগতেই পুরোপুরিভাবে থাকতে চেয়েছিলেন। আইনস্টাইন কিন্তু ইজরায়েলকে অনেক সাহায্য করতেন। তবে, তিনি বর্ণবাদকে অত্যন্ত ঘৃণা করতেন। যাইহোক, এরপর প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছিল। অনেকেই বলেছিলেন, আইনস্টাইনের প্রচুর সম্ভাবনা। তিনি এই পদে দেশের ভালো হত। একই সময়ে, কিছু অংশের মানুষ কিন্তু আইনস্টাইনেরই প্রশংসা করে বলেছিলেন যে আইনস্টাইন নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন।
[ad_2]
Source link