লখনউ সুপার জায়ান্টের অধিনায়ক কেএল রাহুল এবার হায়দ্রাবাদের কাছে চূড়ান্ত হারের পর মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কার কাছে খেলেন ধমক। ভিডিও ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় তুঙ্গে। আর এবার আরও বড় এক সম্ভাবনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। আসলে জানা গেছে যে, গোয়েঙ্কা, লখনউয়ের অধিনায়ক পদ থেকে রাহুলকে সরিয়ে দিতে পারেন। ঠিক যেমন একসময় মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে করেছিলেন, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো যে, রাহুলের মতো ভারতীয় দলে ধারাবাহিক ভাবে খেলা এবং সফল ক্রিকেটার এই আচরণ কতটা মেনে নেবেন। এখন জল্পনা চলছে গোয়েঙ্কা ব্যক্তিগত ভাবে রাহুলকে পছন্দ করেন কি না সেই বিষয়ে।
আসলে বুধবার লখনউ ম্যাচের পরেই সঞ্জীব মাঠে নেমে আসেন। বাউন্ডারির ধারে দাঁড়িয়ে রাহুলকে হাত নেড়ে নেড়ে অনেক কিছু বোঝাতে থাকেন তিনি। তাঁর আচরণ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে, তিনি দলের এই হারে মোটেও খুশি নন। কিছু কিছু ক্রিকেটারের দিকে হাত দেখিয়ে ইঙ্গিত করতে থাকেন তিনি। তাঁর গলার স্বর যথেষ্ট উঁচু ছিল, আর ভিডিয়ো দেখে তা ষ্পষ্টতই বোঝা যায়। সঞ্জীবের এহেন দাপটের সামনে রাহুল মুখে কুলুপ আঁটেন। চুপচাপ মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে সঞ্জীবের কথা শুনছিলেন। এরপর কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারকেও বেশ কিছু কথা বলেন সঞ্জীব। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ামাত্রই সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এই ঘটনায় ধারাভাষ্যকারেরাও খুশি হননি।
২০২২ সাল থেকে লখনউয় দলের অধিনায়ক রাহুল। গত দুইবার ফাইনালে খেলতে পারেনি দলটি। আর এবারও লখনউ প্লে-অফের দৌড়ে রয়েছে, তবে এবার গোয়েঙ্কা এই দলের থেকে ট্রফি চান। সেই কারণেই পরের বার মহা নিলামের আগে রাহুলকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গোয়েঙ্কা ২০১৭ সালে ঠিক এভাবেই খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে ধোনির থেকে নেতৃত্ব কেড়ে স্টিভ স্মিথকে দিয়েছিল দায়িত্ব, যা নিয়ে উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। গোয়েঙ্কা তখন বলেছিলেন, “সংবাদমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমে যে কেউ যা খুশি বলতে পারে। আমি সবার মতামতকে সমীহ করি, কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা নিয়ে জনসমক্ষে আলোচনা করার দরকার আছে বলে মনে করি না। সব সময় সব সিদ্ধান্ত জনপ্রিয় না-ও হতে পারে। যে ১০-১৫ বছর ধরে যে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তার সঙ্গে নতুন একটা ছেলের তুলনা করা চলে না। তবে আমরা যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোচ্ছি সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। আমরা ভেবেছি দলের একজন তরুণ অধিনায়ক দরকার।”