আরজি কর কান্ডের জেরে গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে প্রতিবাদ। আরজি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে একাধিক শুনানি হয়েছে। প্রতিবাদের পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকেরাও কাজে ফিরতে সম্মত হয়েছেন। এদিকে আর কটাদিন পরেই শুরু বাঙালির মহোৎসব দুর্গাপূজা। তবে, গোটা রাজ্য এখন উত্তাল আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে, তাই আসন্ন দুর্গোৎসব নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। মানুষের মন উৎসবে নেই। কিন্তু তা বলে দেবীর আরাধনা বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। সমাজের কিছু মানুষ পুজোর বিরোধিতা করছেন, আবার কিছু মানুষ রয়েছেন পুজোর পক্ষে।
এই বছর কলকাতার ভবানীপুরের মল্লিকবাড়ির পুজোর শতবর্ষ পূর্তি, কিন্তু বর্তমানে রাজ্যের পরিস্থিতির কথা ভেবে মল্লিকবাড়ির পুজোয় এবার কিছু পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর সেই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন মল্লিক পরিবারের কর্তা তথ্য জনপ্রিয় অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক। এই বছর মল্লিকবাড়ির পুজো অনাড়ম্বর ভাবেই পালিত হবে বলেই জানান রঞ্জিত মল্লিক। আসলে, প্রতি বছর দর্শনার্থীরা ভবানীপুরের এই ঐতিহ্যবাহী পরিবারের প্রতিমা দর্শনের জন্য ভিড় করেন, কিন্তু এই বছর তাদের হতে হবে হতাশ, কারণ এবার মল্লিকবাড়িতে পুজোয় দর্শনার্থীদের কোনো প্রবেশাধিকার থাকছে না।
রঞ্জিত বললেন, ‘‘আমাদের পুজো দেখতে প্রচুর মানুষ আসেন। তাঁদের আমরা খুবই ভালবাসি। কিন্তু, এই বছর মন ভাল নেই। আমাদের পরিবার ঠিক উৎসব পালনের মুডে নেই। রঞ্জিতের কথায়, ‘‘আমাদের পরিবারে কারও প্রয়াণের সময়েও দুর্গাপুজো থেমে থাকেনি। পুজো হয়েছে তার নিয়মেই। এ বছর আমরা পুজো করব। কিন্তু কোনও উৎসবে শামিল হব না।’’ করোনা মহামারীর সময়েও মল্লিকবাড়িতে দর্শনার্থী প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ জারি ছিল, কিন্তু এ বারে সেই ব্যবস্থা থাকছে না। রঞ্জিত বলেন, “আমাদের বাড়ির প্রতিমা তো কাঁধে আসে। সে বছর ছোট প্রতিমা তৈরি করতে হয়েছিল, যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়। আমরা কাউকেই নিরাশ করতে চাই না। কিন্তু এ বছর কোনও উপায় নেই।’’
এই বিষয়ে কোয়েলের মতামত প্রসঙ্গে রঞ্জিত বললেন, ‘‘আমরা তো সকলে মিলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোয়েলও সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে।’’ আপনাদের জানিয়ে রাখি, আগে কলকাতার ভবানীপুরের বাড়িতে নয় , বরং এই পুজো হতো গুপ্তিপাড়ায় রঞ্জিতের পৈতৃক বাড়িতে। এদিকে নির্যাতিতার ন্যায়বিচার প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন যে, “এত মানুষের আশা কখনও বিফলে যেতে পারে না। নিশ্চয়ই সুবিচার পাওয়া যাবে। আমি চাই, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। বাকিদের মতো আমিও সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছি।’’