এই প্রথমবার সাংসদ হিসাবে সংসদে প্রবেশ করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। সেই সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার দাদা অর্থাৎ রায়বরেলীর কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং মা অর্থাৎ রাজস্থান থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সাংসদ সোনিয়া গান্ধী। প্রিয়াঙ্কা, ওয়েনাড় কেন্দ্রের নির্বাচিত সাংসদ হিসাবে সকাল ১১টা নাগাদ সংবিধান তুলে ধরে শপথগ্রহণ করেন। প্রিয়াঙ্কা তার শপথগ্রহণের পর লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলকে নমস্কার করেন এবং রাহুলও তাকে হাসিমুখে নমস্কার করেন। এরপর লোকসভার অন্য সাংসদ এবং আধিকারিকদের সঙ্গে নমস্কার বিনিময় করেন প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কা সংবিধান হাতে শপথ নিয়ে দাদা রাহুলের পদাঙ্কই অনুসরণ করেন। রাহুলও পাঁচ মাস আগে লাল-কালো মলাটের সংবিধান হাতেই শপথ নিয়েছিলেন। নবনির্বাচিত সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, বৃহস্পতিবার সকালেই কংগ্রেস সাংসদদের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। তার লোকসভায় উপস্থিত থাকার খবর পেয়ে অন্যান্য কংগ্রেস সাংসদেরা সংসদ চত্বরে হাজির হন। স্লোগান ওঠে ‘প্রিয়াঙ্কা স্বাগতম’। প্রিয়াঙ্কা সেখানে পৌঁছে জানান যে, তিনি খুব খুশি। এরপর তিনি তার দাদা রাহুল গান্ধী এবং মা সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সংসদের ভিতরে প্রবেশ করেন।
উল্লেখ্য, প্রিয়াঙ্কা ২০০৪ সালের লোকসভা ভোট থেকে নিয়মিত সোনিয়া ও রাহুলের প্রচারে অংশ নিলেও ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। রাহুল গান্ধী, লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী এবং কেরলের ওয়েনাড়, এই দুই আসন থেকেই জয়ী হওয়ায় দ্বিতীয় আসনটি ছেড়ে দেন, যেই আসনে কংগ্রেস প্রার্থী হন প্রিয়াঙ্কা এবং ৪ লক্ষ ১০ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআই প্রার্থীকে হারান।