সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলার রায়ে জানায় যে, তফসিলি জাতি এবং জনজাতি সমাজের মধ্যে যারা আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল, তাদের সংরক্ষণ বাতিল করে তার পরিবর্তে তফসিলি জাতি এবং জনজাতি সমাজের মধ্যে আর্থিক দিক দিয়ে যারা একেবারে নীচে রয়েছেন, সেই পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার হোক। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়-সহ সাত সদস্যের বেঞ্চের মধ্যে ছয়জন ‘কোটার মধ্যে কোটা’-র পক্ষে রায় দেন। দলিত, আদিবাসীরা এবার তফসিলি জাতি এবং জনজাতিদের সংরক্ষণ নিয়ে সাম্প্রতিককালে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ বাতিলের প্রতিবাদে পথে নামছেন।
‘ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ দলিত অ্যান্ড আদিবাসী সংস্থা, বুধবার ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে, যেখানে বহুজন সমাজ পার্টি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই বন্ধে সমর্থন জানিয়েছে। অপরদিকে, বন্ধের কারণে আইনশৃঙ্খলা যাতে কোনোভাবেই বিঘ্ন না ঘটে, সেই দিকেও খেয়াল রাখছেন বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রে এই বন্ধের প্রভাব পড়তে পারে। এনএসিডিএওআর দাবি জানিয়েছে যে, কেন্দ্র সরকার যাতে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে। এর পাশাপাশি তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অনগ্রসর জাতির জন্য ন্যায়বিচার এবং সমতা রক্ষার দাবি জানানো হয়েছে।
এনএসিডিএওআর তাদের জন্য নতুন আইন প্রণয়নের কথাও জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, তফসিলি জাতি, উপজাতির সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করে সুপ্রিম কোর্টের এহেন রায়। তাই অবিলম্বে জাত-ভিত্তিক তথ্য প্রকাশের দাবিও তোলা হয়েছে এনএসিডিএওআর এর তরফ থেকে। শুধু কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকারের কাছে নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির কাছেও তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অনগ্রসর জাতির জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এনএসিডিএওআর তাই বুধবার শান্তিপূর্ণ বন্ধের ডাক দিয়ে সকলকে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আর্জি জানিয়েছে। জানা গেছে যে, শুধু বুধবারের বন্ধেই তাদের আন্দোলন সীমাবদ্ধ থাকবে না। এনএসিডিএওআর এর দাবি না মানা হলে, ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটারও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে তারা।