মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস বিগত আট দিন ধরে দাউ দাউ করে জ্বলছে। কমপক্ষে ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। লস এঞ্জেলেসে দাবানলে পুড়ে ১২ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকে নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় খুঁজতে বাধ্য হয়েছেন। কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট না হলেও অনুমান করা হচ্ছে যে, কমপক্ষে ১৩৫ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অ্যান্টনি হপকিন্স, প্যারিস হিলটনের মতো বহু হলিউড তারকার ঘর পুড়ে গেছে। ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর গভিন নিউসম এই ঘটনাকে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বিধ্বংসী প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলেছেন। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাড়িঘর বাঁচাতে কেউ কেউ এখনো নিজের সাধ্যমতো খরচ করে চলেছেন। সাধের ঘর বাঁচাতে অনেকেই নিয়োগ করছেন বেসরকারি দমকলকর্মী। আর এর জন্য ভাড়া গুনতে হচ্ছে ঘণ্টায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। রিপোর্ট অনুযায়ী, লস অ্যাঞ্জেলেসের ধনকুবেররা তাদের ঘরবাড়ি বাঁচাতে বেসরকারি দমকল ভাড়া করছেন। এই ব্যক্তিগত পরিষেবার জন্য তাদের প্রতি ঘণ্টায় গুনতে হচ্ছে ২০০০ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।
এই বেসরকারি দলগুলিতে রয়েছে বিশেষজ্ঞ দমকলকর্মী, অত্যাধুনিক সরঞ্জাম, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এবং জলের ট্যাঙ্ক। আগুনের হাত থেকে ঘরবাড়ি এবং সম্পত্তি বাঁচাতে অনেকেই এই বেসরকারি দমকলের সাহায্য নেন। এর আগে ২০১৮ সালে কিম কার্দাশিয়ান এবং কেইন ওয়েস্ট তার সম্পত্তি বাঁচাতে এই বেসরকারি দমকলের সাহায্য নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এই নিয়ে চলছে জোরালো সমালোচনা। একদিকে বিধ্বংসী আগুনের দাপটে লস অ্যাঞ্জেলেসের লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন, অপরদিকে এই ধরনের পরিষেবা ধনী ও গরিবের ফারাককরে আরো স্পষ্ট করে দিচ্ছে।