আর দুটো দিন পরেই রামমন্দির উদ্বোধন হবে। কেন্দ্র সরকার এই দিন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেছে। গত বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস ছুটির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র, যেখানে বলা হয়, আগামী ২২ জানুয়ারি সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস, কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্রীয় সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, তবে শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্যও রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করেছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ওই দিন রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করেছেন।
উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে, উত্তরাখণ্ড, ছত্তীসগঢ়, অসম, হরিয়ানাতেও রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন মদের দোকানও বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যাতে সকলে চাক্ষুষ করতে পারেন, তার জন্য সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গোটা অনুষ্ঠানই টেলিভিশনের পর্দায় সম্প্রচার করা হবে। ডিডি নিউজ এবং ডিডি ন্যাশনালে প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এমনকি ইউটিউবেও সম্প্রচারিত হবে এই অনুষ্ঠানটি। এবার কেন্দ্রের পাশাপাশি এই রাজ্যেও ওই দিন ছুটি ঘোষণা করার দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সরকারি ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকেও ওই দিন ছুটির আওতায় রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে সুকান্ত, বিদেশি আক্রমণকারীদের হাত থেকে অযোধ্যায় রামচন্দ্রের পবিত্র জন্মভূমি পুনরুদ্ধারের কাহিনী সম্পর্কেও জানিয়েছেন এবং চিঠির সব শেষে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে লিখেছেন, “আপনার সদুত্তরের আশাপ্রার্থী।” মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ, রামচন্দ্রের জম্মস্থান পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে বাংলার দুই বীরের অবদানের কথাও উল্লেখ করেছেন। রাজ্যে তৃণমূল সরকারের আমলে অনেক নতুন তিথি, পরব কিংবা জন্মদিবস সরকারি ছুটির আওতায় এসেছে, তাই সেই কথা উল্লেখ করে মমতার উদ্দেশ্যে সুকান্ত লেখেন, “চলতি বছরের জন্য আপনার বিশেষ অধিকারে একটি বাড়তি ছুটি উপহার দিন রাজ্যবাসীকে।”
অবশ্য এই রাজ্যের রাজ্য সরকার, সুকান্তের এই দাবিতে সাড়া দেবে কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়। সম্প্রতি রামমন্দির উদ্বোধনকে ‘ভোটের আগে গিমিক’ বলে আগেই কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই দিনেই পাল্টা কর্মসূচির ডাক দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এমনকি তাঁর নির্দেশ ছিল, ওই দিন সব জেলায়, সব ব্লকে সংহতি মিছিল করতে হবে। এখন দেখার বিষয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি সংসদ সুকান্তের দাবি মানেন কি না।