হিংসার আগুনে জ্বলছে মনিপুর। এর আসল কারনটি ঠিক কি তা জানাতেই আজ আমাদের এই প্রতিবেদনে সবিস্তারে আলোচনা। মণিপুরের বাসিন্দা থ্যাংয়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানবো আজ আমরা। থ্যাংয়ের বাড়ি হল রাজধানী ইম্ফলে। সম্প্রতি তিনি এক ভিডিও কলের মাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন সকলের সাথে। যেখানে তিনি বলেন গত বুধবার রাতে তিনি শুনেছিলেন মণিপুরের চূড়াচাঁদপুরে একটি হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে কিন্তু তা যে এরকম বিরাট আকার ধারণ করবে তা তিনি নিজেও বুঝতে পারেননি।
থ্যাং বলেন, ইম্ফলের সমস্ত ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তারাও কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সে যেন এক বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা জানালেন তিনি। চারিদিকে শুধুমাত্র কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটার শব্দ। সাত জন একটি ঘরে বসে অনিদ্রার রাত কাটিয়েছেন, তখন গোটা শহর জ্বলছে। বিভিন্ন আধা সামরিক ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে মানুষের আশ্রয়ের জন্য কিন্তু সেখানেও নেই পর্যাপ্ত খাবার এবং জল যে কারণে তিনি রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভাবেন। রাজ্যের বাইরে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তিনি টিকিট কাটিয়ে সেখান থেকে কোনক্রমে পালিয়ে বাঁচেন এমনকি বিমানের যে টিকিটের দাম ৪০০০ টাকা তা বর্তমানে হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার টাকা। তবে তিনি চলে এলেও সেখানে রয়ে গিয়েছে তার অন্যান্য আত্মীয়রা।
আপাতত তাদের সেখান থেকে বের করে আনারই চেষ্টা চলছে। তবে তিনি এর সাথে সাথে প্রত্যেক মানুষের কাছে আবেদন করেন অহিংসা নীতি মেনে চলা কারণ হিংসার বদলে হিংসা কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারেন না বলেই তিনি মনে করেন।