দক্ষিণী অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দানার একটি ভিডিও ঘিরে সম্প্রতি শুরু হয়েছে শোরগোল। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন মেয়ে লিফটে ঢুকে কথা বলছে, যিনি একেবারে অর্ধনগ্ন অবস্থায় রয়েছেন। ভিডিওটিতে যে মহিলাটিকে দেখা যাচ্ছে তিনি রশ্মিকা মান্দনা। সমাজ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হতেই শুরু হয়ে গেছে হইচই।
কিন্তু ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটি আদৌ অভিনেত্রী নয়। এমন ভিডিওকে বলা হয় ডিপফেক ভিডিও। এইরকম ভিডিও তৈরি করা এবং সেগুলি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া আইনগত অপরাধ। সম্প্রতি এই ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নিতে সমাজ মাধ্যম সাইট গুলির কাছে নোটিশ পাঠালো কেন্দ্রীয় সরকার।
সমাজ মাধ্যমকে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ডিপফেক ভিডিওগুলির এত বার বারন্ত আটকানোর জন্য সমাজ মাধ্যমগুলির কাছে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই ভিডিওগুলি যদি আটকানো না হয় তাহলে সমাজ মাধ্যমের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।
২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬ ডি ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি কম্পিউটার ব্যবহার করে কোন ব্যক্তির ফটো বা ভিডিও বিকৃত করে তাহলে তার ৩ বছরের জেল এবং এক লক্ষ জরিমানা হতে পারে। ইতিমধ্যেই নিজের ভিডিও দেখে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
সমাজ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে তিনি লেখেন, আমার যে ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, সেই নিয়ে কথা বলতেও আমার খারাপ লাগছে। এটি শুধু আশ্চর্যের নয় ভীষণ ভয়ের। সারাক্ষণ যারা ক্যামেরার সামনে বসে রয়েছেন তাদের কাছে এটা ভীষণ ভয়ের ব্যাপার। আমি একজন নারী এবং অভিনেত্রী হয়ে সকলের কাছে কৃতজ্ঞ জানাই, আমাকে সমর্থন করার জন্য। কিন্তু অন্য কেউ হলে এই পরিস্থিতি হয়তো সামলাতে পারত না তাই এখনই এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।