গোটা বাংলাদেশ জুড়ে চলেছে হইহই কান্ড। তার মাঝেই গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকেই এস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ঢাকার বাসভবন তথা গণভবন ছেড়ে সন্ধ্যা নাগাদ বিমান পথে ভারতে পৌঁছান। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্দন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে তাঁর বিমান নামে। সেই রাতেই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান যে, হাসিনা খুব অল্প সময়ের নোটিসে ভারতে আসার আর্জি জানিয়েছিলেন এবং ভারতও তাকে অনুমতি দিলে তিনি তার বোনকে নিয়ে ভারতে আসেন।
হাসিনা বর্তমানে ভারতে গোপন আস্তানায় রয়েছেন। আগেই জানা গেছিল যে, বাংলাদেশের সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ভারতের কাছে কোনো আশ্রয় চাননি। আর তারপর থেকে বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে হাসিনার পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে শুরু হয় জোর জল্পনা। সূত্র অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ব্রিটেনের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। যদিও সে দেশের সরকারের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত মেলেনি সবুজ সঙ্কেত। কিছু সূত্রে দাবি,হাসিনার আমেরিকায় যাওয়ার পথ বন্ধ হয়েছে। তার ভিসা প্রত্যাহার করেছে আমেরিকা বলেও রয়েছে খবর।
এই আলোচনায় ফিনল্যান্ড-সহ বেশ কয়েকটি দেশের নামও উঠে আসছে, তবে এই সকল জল্পনা নস্যাৎ করে একটি সাক্ষাৎকারে হাসিনার পুত্র সাজিব ওয়াজিদ জয়ের দাবি, তার মা কোনো দেশেই আশ্রয় চাননি। হাসিনা পুত্র জয় বলেন, ‘‘মায়ের আশ্রয়ের অনুরোধ সম্পর্কিত যে সব প্রতিবেদন ছাপা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভুল। তিনি কোথাও আশ্রয়ের জন্য অনুরোধ করেননি। তাই ব্রিটেন বা আমেরিকার তরফে আশ্রয়ের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার বিষয়ও অসত্য।’’ এমনকি জয় আরো বলেন যে, আমেরিকার সঙ্গে তার মায়ের আশ্রয় সম্পর্কিত কোনোরকম আলোচনা হয়নি।
লাগাতার আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা এবং তার পর দেশ ছাড়ার পর থেকেই হাসিনার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। সেই প্রসঙ্গেও জয় বলেন, তার মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না। এত পরিশ্রম করার পরেও যেভাবে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন হলো, তাতে তিনি অত্যন্ত হতাশ এবং বীতশ্রদ্ধ। তিনি এখন তার পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটানোর পরিকল্পনা করছেন।