বাঙালি জনগণ এখন পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছে। কোনদিন কোথায় ঠাকুর দেখতে যাবেন, কী পরবেন, কেমন সাজবেন, এই সবকিছুর লিস্ট আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছেন। বিশেষ করে মেয়েরা কোনদিন কেমন লুক ক্রিয়েট করে তাক লাগাবেন তাও ঠিক করে রেখেছেন। তবে, শুধু সাজলেই তো হলোনা, পাশাপাশি করে সুন্দর চেহারা দেখতে লাগে তার জন্য অনেকেই পুজোর আগে থেকেই জিম শুরু করেছেন, কিন্তু সমস্যা দাঁড়িয়েছে ডবল চিন অর্থাৎ থুতনির নীচের বাড়তি মেদ নিয়ে। আসলে যত সুন্দর সাজগোজ হোক না কেনো, মুখে অতিরিক্ত মেদ জমলে চেহারায় একপ্রকার বুড়ি বুড়ি ভাব চলে আসে, তবে এখন আর চিন্তার কোনো কারণ নেই। হাজার কসরত করেও যাদের মুখের বাড়তি মেদ কমেনি, তারা এবার সঠিক মেকআপের গুণেই লুকিয়ে ফেলতে পারেন এই ডবল চিন। মনে প্রশ্ন জাগছে কীভাবে সম্ভব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই পদ্ধতি।
১) আপনি যদি মুখের বাড়তি মেদ অর্থাৎ ডবল চিন ঢাকতে চান, তবে এর জন্য আপনাকে মুখের অন্যান্য অংশের মেকআপের দিকে বেশি জোর দিতে হবে। বিশেষ করে চোখের সাজের উপর। এই যেমন ধরুন আপনি যদি স্মোকি আই করেন, তবে সকলের নজর আপনার চোখের দিকেই আগে যাবে। আর তার সঙ্গেই আপনার পরনের পোশাকটির সঙ্গে মানানসই ব্লাশ গালে বুলিয়ে নিলে অনায়াসেই ডাবল চিন হবে গায়েব।
২) আপনাকে চোখের মেকআপের মতো ঠোঁটের মেকআপেও নজর দিতে হবে। গাঢ় রঙের লিপস্টিক যে কারো নজর কাড়তে পারে। এরফলে সকলের নজর আপনার মুখের ডাবল চিন থেকে সরে ঠোঁটের দিকে যাবে। এর জন্য প্রথমে লিপলাইনার দিয়ে আগে সুন্দর করে ঠোঁটের চারপাশ স্পষ্ট করে তার পরেই গাঢ় রঙের লিপস্টিক পরে নিন আর হয়ে উঠুন অনন্যা।
৩) চোখ এবং ঠোঁটের পর আপনাকে মেকআপ করার সময় নজর দিতে হবে মুখ, গলা, কলার বোন, বক্ষভাঁজের উপর। চোয়ালের হাড়, কপাল-নাকের টি জোন, কলার বোনে কনসিলার দিতে হবে, এমনকি বক্ষভাঁজ বা গলার অংশে হালকা ব্রোঞ্জার লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে আপনার সৌন্দর্য বেড়ে উঠবে দ্বিগুণ।
৪) আপনার মুখের আকৃতি যদি গোল হয়, তবে সেটিকে পানপাতার আকৃতি দিতে কিংবা লম্বা আকৃতির মুখকে ডিম্বাকৃতি দেখাতে চোয়ালের হাড় হাইলাইট করতে হবে, তবে মাথায় রাখবেন, সব সময় ব্রাশ নীচ থেকে উপরের দিকে স্ট্রোকে টানতে হবে, আর যদি এর উল্টো করেন তাহলে আপনার পুরো খাটনি জলে যাবে।