দার্জিলিং, কালিম্পং, সিকিম সহ উত্তরের হিমালয়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। ২০২৩ সালের ২৫শে ডিসেম্বর থেকে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েই চলেছে। অনেক দিন আগেই বন্ধ হয়েছে হোটেল বুকিং। তাই পর্যটকদের ভরসা ছিল হোমস্টে। এবার তাও জনগণের উপচে পড়া ভিড়ে টইটম্বুর। তাসত্ত্বেও পর্যটকদের পড়তে হয়নি বিপাকে। এই বিপদের সময় মুশকিল আসান হয়ে এগিয়ে এসেছেন পাহাড়ের সাধারণ মানুষ। কিছু পাহাড়ি গ্রামের সাধারণ মানুষ পর্যটকদের জন্য নিজেদের ঘর খুলে দিয়েছেন।
পর্যটকদের যাতে এই হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে না হয়, তাই তারা এগিয়ে আসছেন। দার্জিলিংয়ের নীলিমা তামাং, কার্শিয়াঙের চিমনি এলাকার অলোক প্রধান, সিটং, লাটপামচার, কালিম্পংয়ের ইয়েলবং-সহ একাধিক জায়গার সাধারণ মানুষ পর্যটকদের রাতে মাথা গোঁজার বন্দোবস্ত করে দিলেন। খুলে দিলেন নিজেদের ঘরের দরজা। বহু পর্যটক সেখানেই রাত কাটালেন তাও আবার বিনামূল্যে।
রাজ্য ইকো ট্যুরিজম দফতরের চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, বড়দিন থেকে শুরু করে পাহাড় একেবারে পর্যটকে ঠাসা। হোটেল বা হোমস্টেগুলিতে বুকিং বন্ধ রয়েছে। তাও পর্যটকের সংখ্যা কমার নাম নেই। তাদের থাকার সমস্যা দেখা দিলেও দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের গ্রামের মানুষই এগিয়ে এসেছেন সমস্যা সমাধানে। তাঁর মতে, এই আতিথেয়তাই মানুষকে আরো বেশি করে পাহাড়মুখী করছে।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, আগেও এমন ভিড় লক্ষ্য করা গেছে, তবে করোনা মহামারীর পর থেকে জনগণের ঢল কম ছিল পাহাড়ে। আবার এই প্রথম এত ভিড় দেখা যাচ্ছে। জায়গা নেই দার্জিলিং, কালিম্পং, সিকিমে। হোমস্টে থেকে হোটেল সব জায়গা ভরে গেছে। এই মুহূর্তে পাহাড়বাসী যেভাবে দেবদূতের মত এগিয়ে এসেছেন সাধারণ মানুষকে জায়গা করে দিয়েছেন সেই উদার মানবিকতাই পাহাড়ের পরিচয়।