ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম ক্রমশ এগিয়ে আসছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরেই অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঝড়। সমতলে আছড়ে পড়ার সময় তার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। তিন ঘণ্টা ধরে চলবে এই আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিম বর্ধমান ছাড়া কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় মঙ্গলবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধ এবং বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অন্ধ্র উপকূল থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে সরকার আট জেলায় সতর্কতা জারি করেছে। মিগজাউমের প্রভাব অন্ধ্রপ্রদেশের তুলনায় তামিলনাড়ুতেই বেশি পড়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণের বেশ কয়েকটি রাজ্যে রবিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ছে চেন্নাইয়ে।
ইতিমধ্যে চেন্নাইয়ে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মারা গেছেন আট জন। আগামী চারদিন স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত সব বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় অন্ধ্র সরকারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। এই ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীরা। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে পুদুচেরির উপকূলবর্তী এলাকায়।
ইতিমধ্যেই সমস্ত ঘূর্ণিঝড়-আক্রান্ত জেলাগুলির জন্য বিশেষ অফিসারদের নিয়োগ করা হয়েছে। নিচু এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের থাকার জন্য ৩০০টিরও বেশি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দক্ষিণের উপকূলীয় জেলাগুলিতে উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করেছে। সমস্ত উপকূলীয় এবং দক্ষিণ জেলাশাসকদের সতর্ক করা হয়েছে এবং মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।