প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস দাবি করেছে যে, ইজরায়েলি সেনা, গাজা ভূখণ্ডের ৭৭ শতাংশই দখল করে রেখেছে। কখনো ধমকে, কখনো আবার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে একের পর এক শহর খালি করে ইজরায়েল সেগুলি নিজের দখলে নিচ্ছে বলেই দাবি করেন হামাস। চলতি বছরের ১৮ই মে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, গোটা গাজ়া ভূখণ্ড দখলের কথা ঘোষণা করার পরই সেনার তরফে খান ইউনূস এবং আশপাশের শরণার্থী শিবিরগুলি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
গাজার ২৩ লক্ষ প্যালেস্টাইনি বাসিন্দার মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ ঘরছাড়া হয়ে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন। ইজরায়েল এই ভাবেই গাজার ৭৭ শতাংশ দখল করেছে বলে হামাসের দাবি। জানা গেছে যে, গত রবিবার গাজায় ফের ইজরায়েলি হামলায় ২৩ জন প্যালেস্টাইনির মৃত্যু হয়েছে। ওই সকল মৃতদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক এবং উদ্ধারকারী দলের ঊর্ধ্বতন কর্তা। গত রবিবার ইজরায়েলি সেনা, গাজার উত্তরে জাবালিয়া, দক্ষিণে খান ইউনিস এবং মধ্য গাজার নুসেইরাতে হামলা চালায়।
এই হামলার জেরে জাবালিয়াতে স্থানীয় সাংবাদিক হাসান মাজদি আবুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তবে, গত রবিবারের হামলা নিয়ে এখনো পর্যন্ত ইজ়রায়েলের তরফে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে শুরু হওয়া এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর থেকে গাজায় এখনো পর্যন্ত মোট ২০০ জন সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আল কাশিম ব্রিগেড ইজরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালানোর পরে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ফৌজ ধারাবাহিক ভাবে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
চলতি বছরের ১৫ই জানুয়ারি, আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় এবং কাতারের মধ্যস্থতায় ইজরায়েল সরকার এবং হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। ১৯শে জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও পণবন্দি মুক্তি ঘিরে টানাপড়েনের জেরে চলতি বছরের মার্চের শুরুতে একতরফা ভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইজরায়েলি সেনা ফের গাজায় হামলা শুরু করে।