চলতি বছরের ২৩শে সেপ্টেম্বর ইজরায়েলি সেনা, লেবাননের দক্ষিণ প্রান্তে রকেট হানা চালায়। আর এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তছনছ হয়ে লেবানন। হু-হু করে বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যা। এরপর হিজবুল্লা প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লা, গত ২৭শে সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বেরুটের দক্ষিণে দাহিয়া এলাকায় ইজরায়েলি বিমানহানায় হত হন। আর তারপর থেকে উত্তেজনা তুঙ্গে। হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর পরই ইরান পাল্টা হামলার ছক কষে।
গত মঙ্গলবার ১লা অক্টোবর ইজরায়েলি ফৌজ লেবাননে ঢুকে যখন হামলার পরিকল্পনা করে, তখন ইরানি সেনা, তেল আভিভে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে থাকে। প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে দাবি। তবে, এই হামলা প্রতিহত করে ইজরায়েল সেনা। এরপর ওইদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন। এরপরই তিনি ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘ইরান হামলা করে ঠিক কাজ করেনি। এর ফল ভুগতে হবে তাদের।’’
এরপর তেহরান পাল্টা হুমকি দিয়ে জানায় যে, প্রতিশোধ নিতে ইজরায়েল যদি হামলা চালায়, তবে ইরানও পাল্টা জবাব দেবে। এর মাঝে আবার ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা এবং ইরানের হামলার নিন্দা করে। এমনকি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইজরায়েলকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দেন। এই পরিস্থিতিতে ইরান, আমেরিকাকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘছি জানিয়েছেন যে, তারা কোনোরকম হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না, বরং পাল্টা জবাব দেবে।
এদিকে নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারির পরই ইরান নিজেদের আকাশপথ বন্ধ করে। জানা গেছে যে, সামরিক, বেসরকারি কোনো বিমানই ইরানের আকাশসীমায় ঢুকতে পারবে না এবং এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বৃহস্পতিবার ৩রা অক্টোবর সকাল পর্যন্ত। অপরদিকে, ইরানের এই হামলার ঘটনায় ভারত রীতিমতো উদ্বিগ্ন। ইতিমধ্যেই ভারতের কেন্দ্র সরকার, ইজরায়েলের প্রবাসী ভারতীয়দের সতর্ক করেছে। তেহরানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে যে, তারা সকল পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে যে, তারাও সকল পরিস্থিতির খবর নিচ্ছে এবং তেমন পরিস্থিতি হলে ইজরায়েলে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের ভারতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।