ইরানের সমর্থনপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লা এবার ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে ৬০টিরও বেশি রকেট হামলা চালায়। হিজবুল্লা কথার অর্থ ‘আল্লার দল’। ইরানের মদতপুষ্ট লেবাননের শিয়া মুসলিমদের এই দল বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় থেকেছে। ১৯৮০-এর দশকে লেবাননের গৃহযুদ্ধের মধ্যেই এই হিজবুল্লা গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। ধর্মগুরু এবং রাজনৈতিক নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ১৯৯২ সাল থেকে এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন। পশ্চিম এশিয়ার এই অন্যতম বৃহৎ এবং শক্তিশালী হিজবুল্লা বাহিনীতে লক্ষাধিক যোদ্ধা রয়েছেন। এই গোষ্ঠী অতীতেও বেশ কয়েক বার ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ লড়াই চালিয়েছে।
লেবাননের এই সক্রিয় শিয়া সংগঠনটির তরফ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে,গত বৃহস্পতিবার উত্তর ইজরায়েলের লোয়ার গ্যালিলি সেনা এবং বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ওই রকেট হামলা চালানো হয়েছে। আর এর প্রতিবাদেই উত্তর-পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লার একটি অস্ত্র উৎপাদন কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী। গত শুক্রবার ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, লেবাননের যে জায়গা থেকে রকেট হামলা চালানো হয়েছে, সেই জায়গা লক্ষ্য করেই পাল্টা হামলা চালানো হয়, তবে এই হামলার কারণে ঠিক কতটা পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার কোনোরকম খবর এখনো মেলেনি।
লেবানন সীমান্ত থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইজরায়েলের লোয়ার গ্যালিলি সেনা এবং বিমানঘাঁটি। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘাঁটি লক্ষ্য করে অন্তত ৬০টি ‘কাতুসা’ রকেট ছোড়ে হিজবুল্লা বাহিনী। তেল আভিবের দাবি, ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অধিকাংশ রকেটকেই ধ্বংস করে দেয়। মনে করা হচ্ছে যে, কিছু দিন আগে দক্ষিণ লেবাননের কয়েকটি গ্রামে ইজরায়েলি সেনার অনুপ্রবেশের জবাব দিতেই এই হামলা করা হয়েছে। গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর গাজা থেকে ইজরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের রকেট হামলার পরেই স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সংগঠনটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল হিজবুল্লা। সেই সময় ইজরায়েলি ভূখণ্ডে তিনটি রকেট ছুড়ে প্রতীকী হামলা চালানো হয়েছিল।