অবশেষে পাওয়া গেল মুক্তির স্বাদ। উত্তর কাশীর সুরঙ্গ থেকে একের পর এক বের করে নিয়ে আসা হচ্ছে আটকে পড়ে থাকা শ্রমিকদের। প্রায় ১৭ দিন পর সুরঙ্গ থেকে মুক্তি পেলেন তারা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি।
সুরঙ্গ থেকে প্রথমে বেরিয়ে আসেন ঝাড়খণ্ডের বিজয় হোড়ো। এক ঘণ্টার মধ্যেই সুরঙ্গ থেকে ৪১ জন শ্রমিক বেরিয়ে আসবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। গত ১২ নভেম্বর ভোরবেলা উত্তর কাশির এই সুরঙ্গে ধস নেমেছিল। ভিতরে আটকে ছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। বিভিন্নভাবে তাদের বার করে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছিল কিন্তু শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছিল না।
শুক্রবার ধ্বংসস্তূপের ভেতরের লোহার কাঠামোয় ধাক্কা খেয়ে আমেরিকান খনন যন্ত্র ভেঙে যায় ফলে উদ্ধারকাজ কিছুক্ষণের জন্য থমকে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী ধামীকে এই কদিন বারবার ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল, পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল খাবার জল এবং বাকি জিনিসপত্র।
খনন যন্ত্র ভেঙে যাওয়ায় দুভাবে খোঁড়াখুড়ির কাজ শুরু হয়েছিল। খনন যন্ত্রের সমস্ত টুকরো সুরঙ্গ থেকে বের করে নিয়ে আসার পর খনি শ্রমিকরা সেখানে ঢুকে যন্ত্র ছাড়াই খোঁড়া শুরু করেন। এইভাবে প্রায় ১০ থেকে ১২ মিটার পথ খুড়ে শ্রমিকদের বের করে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হয়। লম্বালম্বিও চলছিল খোঁড়ার কাজ। ৮৬ মিটারের মধ্যে তাই ৪২ মিটার খনন কার্যসম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল মঙ্গলবার সকালের মধ্যেই।
শ্রমিকদের সুরঙ্গ থেকে বের করে নিয়ে আসার পর যাতে কোন সমস্যা না হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স থেকে ওষুধপত্র সবকিছুই মজুদ করে রাখা হয়েছে সুরঙ্গের সামনে। বেশ কয়েকটি অস্থায়ী হাসপাতালে প্রস্তুত করা হয়েছে। কোনভাবেই যাতে কোন শ্রমিকদের কোন শারীরিক ক্ষতি না হয় সেদিকে করা নজর দিচ্ছেন প্রশাসন।