ফের উত্তাপ বাড়ছে রাজধানী দিল্লিতে। আজ অর্থাৎ সোমবার দুপুরে কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিষাণ পরিষদ, সংসদ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে। নয়া তিন কৃষি আইনের অধীনে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ এবং সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত দাবিদাওয়াকে তুলে ধরাই এর লক্ষ্য। আজ দুপুর ১২টায় নয়ডার মহামায়া উড়ালপুল থেকে মিছিল শুরু হয়। পায়ে হেঁটে এবং ট্রাক্টরে করে আন্দোলনকারী কৃষকেরা দিল্লির সংসদ ভবনের উদ্দেশ্যে এগিয়ে যান। গত রবিবার ভারতীয় কিষাণ পরিষদ এর নেতা সুখবীর খলিফা এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন। গৌতম বুদ্ধ নগর, বুলন্দশহর, আলিগড়, আগরা-সহ ২০টি জেলার কৃষকেরা এই বিক্ষোভ মিছিল সামিল হন।
বিকেএস, এই মিছিলের মাধ্যমে তাদের পাঁচ দফা দাবি সংসদ ভবন পর্যন্ত পৌঁছে দিতে চাইছে। কৃষকদের দাবিগুলো হলো, কৃষকদের পুরনো অধিগ্রহণ আইন অনুসারে, ১০ শতাংশ জমি এবং ৬৪.৭ শতাংশ বর্ধিত হারে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদি ২০১৪ সালের ১লা জানুয়ারির পরে কোনো জমি অধিগ্রহণ হয়, তবে ২০ শতাংশ জমি এবং বাজার দরের চার গুণ বেশি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কৃষকদের। এমনকি ভূমিহীন কৃষকদের সন্তানের জন্য চাকরির ব্যবস্থা সহ পুনর্বাসন করতে হবে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির সুপারিশগুলি নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা জারি করতে হবে। এর পাশাপাশি আন্দোলনকারী কৃষকেরা বসত এলাকার বিষয়েও গ্রহণযোগ্য নিষ্পত্তি চাইছেন।
এই কৃষক মিছিলের কারণে চিল্লা এবং দিল্লি-নয়ডা সরাসরি সংযোগকারী আট লেনের রাস্তায় যানজট তৈরি হয়েছে। কৃষকদের এই মিছিল ঘিরে যাতে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য পুলিশ প্রশাসন সক্রিয়। ব্যারিকেড বসানো হয়েছে নয়ডা-দিল্লি সীমান্তে। দিল্লির পুলিশ কমিশনার শিবহরি মীনা জানিয়েছেন যে, “মহামায়া উড়ালপুল, চিল্লা এবং দিল্লি-নয়ডা সরাসরি সংযোগকারী রাস্তায় প্রচুর পরিমাণে পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে। নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়েতেও প্রচুর চেক পয়েন্ট বসানো হয়েছে। দিল্লি-নয়ডা সংযোগকারী বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে অন্য পথ দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”