যৌন সুখই মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ালো তুগাণভের। এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর রুশ সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছিল ২০০৯ সালে। ঘটনাটি মস্কোর সেখানকার বাসিন্দা ওই যুবক যার নাম সার্জারী তুগানভ, বয়স মাত্র ২৮ বছর। তিনি ও তাঁর দুই বান্ধবীরা মিলে ফেব্রুয়ারি মাসের কোন একটি দিন অবাধ যৌনতায় লিপ্ত হন কারণ তুগানভের ঐ দুই বান্ধবী তাঁর সাথে বাজি ধরে একটানা ১২ ঘণ্টা যৌন সঙ্গমের লিপ্ত থাকার কারণ তাঁর বান্ধবীরা মনে করেন সেই দীর্ঘক্ষণ সঙ্গম ধরে রাখার ক্ষমতা নেই তুগানভের। বাজিতে পুরস্কার হিসেবে ধার্য করা হয়েছিল সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।
যদি তুগানভ যেতে তাহলে তাঁকে তাঁর বান্ধবীরা সাড়ে তিন লক্ষ টাকা পুরস্কার স্বরূপ দেবেন। অন্যথায় ওই সমপরিমাণ টাকা দিতে হবে তার বান্ধবীদের। শেষ পর্যন্ত বাজি ধরে শুরু হয় টানা যৌন সঙ্গম। টানা ১২ ঘন্টা জুড়ে অভিনব পন্থা অবলম্বন করে সঙ্গমে লিপ্ত হন ঐ যুবক।সেই পন্থাটি হল ভায়াগ্রা বড়ি, যেটি সঙ্গমের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে বলেই জানা যায়। সেই বড়ি তিনি একসাথে পুরো বোতল খেয়ে নেন যার পরিণাম হিসেবে তাকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়। বাজিতে শেষ পর্যন্ত তিনি জয়ী হয়েছিলেন এবং পুরস্কার স্বরূপ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা তিনি পানও কিন্তু তারপরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপ্রকার হৃদরোগেই তার মৃত্যু হয়। শত চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
পরবর্তীকালে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হলে ময়নাতদন্তে রিপোর্টে জানা যায় অতিরিক্ত ভায়াগ্রা খাবার ফলেই মৃত্যু হয়েছে যুবকের। এ ঘটনা অবশ্য নতুন নয়, এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে তাই এই বিষয়ে আমাদের অত্যন্ত সতর্ক থাকা প্রয়োজন কারণ সঠিক ওষুধ যেমন প্রাণসঞ্চার করতে পারে, তেমনি তার অপব্যবহার প্রানঘাতীও যে হতে পারে তার দৃষ্টান্ত আমাদের চোখের সামনে।